অংশীদারি ব্যবসায়ের চুক্তি পত্রের নমুনা

যৌথ ব্যবসার চুক্তিপত্র নমুনা এমন একটি বিষয় যা বর্তমান ব্যবসার জগতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী অংশীদারি ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী, তবে সঠিক চুক্তিপত্র ছাড়া ঝুঁকি অনেক। আপনি কি জানেন, সঠিক চুক্তিপত্র ছাড়া যৌথ ব্যবসায়িরা প্রায় ৬৫% ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিতে পড়েন? ২০২৪ সালে যৌথ ব্যবসার চুক্তিপত্র কেমন হওয়া উচিত, কিভাবে এটি আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং এতে কি কি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত থাকা উচিত, তা নিয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। যৌথ ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন? তাহলে সঠিক চুক্তিপত্র কেমন হবে, সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিনামা

 

১। নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।

………………… প্রথম অংশীদার।
চলমান পাতা # ১

 

 

 

 

(পাতা-২)

 

২। নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।

……………….. দ্বিতীয় অংশীদার।
চলমান পাতা-৩

(পাতা # ৩)

 

 

৩। নাম:………….., পিতা:…………………ঠিকানা:………………. জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।

তৃতীয় অংশীদার
চলমান পাতা # ৪

(পাতা # ৪)

পরম করুণাময় মহান আল্লাহর নামে অংশীদারী চুক্তিনামা লিখতে আরম্ভ করিলাম।

চলমান পাতা # ৫

(পাতা # ৫)

যেহেতু আমরা উল্লেখিত পক্ষগণ আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে একমত পোশন করিয়া নাইস এক্সেসরিজ (Nice Accessories) নামেতে ব্যবসা যৌথমালিকানায় পরিচালনা করার জন্য নিম্নলিখিত শর্তাবলী পালন স্বাপেক্ষে যৌথ ব্যবসায়ের চুক্তিনামা পক্ষগণের মধ্যে সম্পাদন করিলাম।

চলমান পাতা # ৬

(পাতা # ৬)

শর্তাবলী

১। আমাদের উক্ত যৌথ ব্যবসাটির অফিস ব্যবসায়ের অংশীদারগণের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে পছন্দ অনুযায়ী নেওয়া হবে।
চলমান পাতা # ৭

(পাতা # ৭)

২। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী অফিসঃ ৯১/৪, দক্ষিণ মাদারটেক, সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪ ঠিকানায় আরম্ভ হইবে। প্রয়োজনে বাংলাদেমের যে কোন স্থানে পরিবর্তন করা যাইতে পারে। ব্যবসার ধরণ হইবে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ (Garments Accessories) সরবরাহ।

চলমান পাতা # ৮

(পাতা # ৮)

৩। ব্যবসায়ের বিনিয়োগের হারে নিম্নরূপঃ

ক্রমিক নং  – পক্ষগণের নাম – অংশের শতকরা পরিমাণ
প্রথম অংশীদার- x- ৩৩.৩৪%
দ্বিতীয় অংশীদার- Y- ৩৩.৩৩%
তৃতীয় অংশীদার- Z- ৩৩.৩৩%

সর্বমোট ১০০%

চলমান পাতা # ৯

(পাতা # ৯)

৪। উক্ত অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্ট ৩ (তিন) জন অংশীদার দ্বারা যৌথ একাউন্ট-এর মাধ্যমে পরিচালিত হইবে।

চলমান পাতা # ১০

(পাতা # ১০)

৫। টাকা উত্তোলনের জন্য চেক স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে ১নং পক্ষ জনাব xxxx-এর স্বাক্ষর বাধ্যতামুলক করা হল এবং ২য় অথবা ৩য় পক্ষের মধ্য হইতে যেকোন একজন সহ সর্বমোট দুইজনের স্বাক্ষর আবশ্যক।

চলমান পাতা # ১১

(পাতা # ১১)

৬। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাড়া/কর্মকর্ত-কর্মচারী বেতন ভাতাও অন্যান্য যাবতীয় খরচ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হইতে খরচ করা হইবে।

চলমান পাতা # ১২

(পাতা # ১২)

৭। মাসের শেষে খরচ বাদে যে টাকা লাভ হইবে তাহা অংশীদারগণের মধ্যে নিম্ন লিখিত হারে বন্টিত হইবে।

ক্রমিক নং- পক্ষগণের নাম- অংশের শতকরা পরিমাণ
প্রথম অংশীদার-X- ৩০%
দ্বিতীয় অংশীদার-Y- ৩০%
তৃতীয় অংশীদার-Z- ৩০%
সর্বমোট ৯০%

বাকী ১০% প্রতিষ্ঠানের যৌথ ব্যাংক একাউন্টের মধ্যে জমা থাকবে যাহা আপদকালীণ সময়ে ব্যবহার করা যাবে।
চলমান পাতা # ১৩

(পাতা # ১৩)

৮। প্রতিষ্ঠানের কোন লোকসান হইলে উহা পক্ষগণ সহ হারে বহন করিবেন।

চলমান পাতা # ১৪

(পাতা # ১৪)

৯। যৌথ ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি গভীর আস্থা বা বিশ্বাস স্থাপন করিতে বা রাখিতে হইবে।

চলমান পাতা # ১৫

(পাতা # ১৫)

তাহা না হইলে কোন অবস্থাতেই যৌথ ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হইবে না।

চলমান পাতা # ১৬

(পাতা # ১৬)

 

 

১০। এই ব্যবসার তিন পক্ষই মালিক বা স্বত্বাধিকারী হিসাবে গণ্য হইবে। সেক্ষেত্রে কোন পক্ষই নিজের প্রাপ্ত অংশের অতিরিক্ত কোন সুযোগ / সুবিধা ভোগ করিতে পারিবে না।

চলমান পাতা # ১৭

(পাতা # ১৭)

১১। ব্যবসা পরিচালনার জন্য অথ্যের প্রয়োজনের ক্ষেত্রে তিন জন অংশীদারের সমান বিনিয়োগ নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অংশীদারের মধ্যে আন্তরিকতা দক্ষতা, অভিজ্ঞতা কে মূল্যায়ন করে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং সমান ভাগে মালিকানা ভোগ করিবে।

চলমান পাতা # ১৮

(পাতা # ১৮)

১২। এই প্রতিষ্ঠানটি চালু থাকাবস্থায় পক্ষগণ অনুরূপ কোন ব্যবসা ঢাকা জেলার মধ্যে নিজ নামে বা অংশীদারিত্বের মাধ্যমে চালাইতে পারিবেন না।

চলমান পাতা # ১৯

(পাতা # ১৯)

১৩। আমরা অংশীদারগণ এই যৌথ ব্যবসায়ের চুক্তিনামার লিখিত বিষয় সমূহ পাঠ করিয়া উহার মর্ম অবগত হইয়া অদ্যকার হাজিরান মজলিসে উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় লিখিত বিষয়সমূহ সত্য ও সঠিক জানিয়া এবং ইহাতে কোন প্রকার ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ হয় নাই এই মর্মে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে অন্যের বিনা প্ররোচনায় এই যৌথ ব্যবসায়ের চুক্তি নামায় নিজ নাম স্বাক্ষর করিলাম।

এই অংশীদারী চুক্তিনামা ২০০০/- (দুই হাজার) টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে ২০ (বিশ) পাতা বাংলায় কম্পোজকৃত।

চলমান পাতা # ২০

(পাতা # ২০)

অত্র অংশীদারী চুক্তিনামার ৩ (তিন) জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে সম্পাদিত। মূলকপি ৩য় পক্ষ জনাব  X- এর নিকট থাকিবে এবং ১টি করিয়অ ফটোকপি ( নোটারী পাবলিক কর্তৃক সত্যায়িত) প্রতি অংশীদারগণের নিকট অবশ্যই থাকিতে হইবে। ইতি, তাং-
স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ
১।
প্রথম অংশীদারের স্বাক্ষর
২।
দ্বিতীয় অংশীদারের স্বাক্ষর
৩।
তৃতীয় অংশীদারের স্বাক্ষর

যৌথ ব্যবসার চুক্তিপত্র তৈরি করতে গিয়ে সঠিক শর্তাবলী ও নিয়মাবলী অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। একটি সঠিকভাবে তৈরি করা চুক্তিপত্র অংশীদারদের মধ্যে আস্থা, নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীলতার ভিত্তি স্থাপন করে, যা ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। যৌথ ব্যবসা শুরু করার আগেই এমন চুক্তিপত্র প্রস্তুত করা আপনার ভবিষ্যৎ ঝুঁকিকে কমিয়ে আনবে এবং ব্যবসাকে আরও সুসংগঠিত করবে। সুতরাং, যৌথ ব্যবসা নিয়ে এগোতে চাইলে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে একটি পেশাদারী ও সঠিক চুক্তিপত্র তৈরির দিকে নজর দিন – এটি আপনার ও আপনার ব্যবসায়িক অংশীদারের জন্য সুরক্ষার প্রাচীর হিসেবে কাজ করবে।