ব্যবসা নিয়ে ইসলামিক উক্তি: জীবনের পথে আলোর মশাল
আচ্ছা ভাই, কখনো কি মনে হয়েছে ব্যবসা শুধু টাকা কামানোর একটা মাধ্যম নয়? ইসলাম তো আমাদের শেখায়, ব্যবসা শুধু লাভ-লোকসানের হিসাব নয়, এটা একটা ইবাদতও বটে। আমি নিজে যখন প্রথম ব্যবসা শুরু করি, তখন এই কথাগুলো বুঝতে পারিনি। কিন্তু সময় যত গেছে, ততই অনুভব করেছি, ইসলামের দিকনির্দেশনা আসলে কতটা গভীর।
একবার আমার এক বন্ধু আমাকে বলেছিল, “ব্যবসায় সাফল্য চাও? তাহলে সততা আর ন্যায়বিচারকে সঙ্গী করো।” কথাটা শুনে হাসি পেয়েছিল, কিন্তু পরে বুঝলাম এটাই সত্যি। রাসুল (সা.) বলেছেন, “সততা সফলতার চাবিকাঠি।” (বুখারী)। এই কথাটা আমার জীবনে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। যখনই আমি সততার পথ থেকে সরে এসেছি, তখনই সমস্যায় পড়েছি।
ইসলামে ব্যবসাকে ন্যায়ের ভিত্তিতে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। কোরআনে আছে, “হে ঈমানদারগণ, তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, কেবলমাত্র পরস্পর সম্মতির ভিত্তিতে ব্যবসা করো।” (সূরা নিসা, আয়াত ২৯)। এই আয়াতটা আমাকে সবসময় সতর্ক করে। ব্যবসায় লাভের লোভে কাউকে ঠকানো, মিথ্যা বলা—এসব থেকে দূরে থাকতে শেখায়।
আরেকটা জিনিস যা আমি শিখেছি, তা হলো ধৈর্য। ব্যবসায় উত্থান-পতন থাকবেই। রাসুল (সা.) বলেছেন, “ধৈর্য হলো আলোর চাবি।” (তিরমিজি)। যখন ব্যবসায় সমস্যা আসে, তখন এই কথাটা মনে করি। ধৈর্য ধরে আল্লাহর উপর ভরসা রাখলে, তিনি অবশ্যই উত্তম সমাধান দেন।
ব্যবসা নিয়ে ইসলামিক উক্তি
ইসলামে ব্যবসা নিয়ে ইসলামিক উক্তি আছে যা ব্যবসায়ীদের প্রেরণা জোগায়। কিছু মোটিভেশনাল উক্তি:
১. “সততার সাথে ব্যবসা করলে জান্নাতের অধিকারী হওয়া যায়।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি২. “যে ব্যক্তি হালাল পথে ব্যবসা করে, আল্লাহ তার রিজিকে বরকত দান করেন।”
— হাদিস সূত্র: বুখারি৩. “সৎ ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সাথে থাকবে।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি৪. “মিথ্যা বলা ও প্রতারণা ব্যবসাকে ধ্বংস করে।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম৫. “যে ব্যক্তি কাজ করে ও পরিশ্রম করে নিজের জন্য এবং তার পরিবারের জন্য রিজিক উপার্জন করে, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।”
— হাদিস সূত্র: বায়হাকি৬. “আল্লাহ্ সেই ব্যবসায়ীকে ভালোবাসেন, যে ব্যবসায় সৎ ও ন্যায়পরায়ণ।”
— হাদিস সূত্র: ইবনে মাজাহ৭. “ব্যবসায়ীকে অবশ্যই লেনদেনের ক্ষেত্রে সত্য বলা উচিত।”
— হাদিস সূত্র: সহিহ মুসলিম৮. “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও প্রতারণা থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করেন।”
— হাদিস সূত্র: আবু দাউদ৯. “হালাল পথে উপার্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ।”
— হাদিস সূত্র: সহিহ বোখারি১০. “যে ব্যক্তি অপরের অধিকারকে সম্মান করে, তার রিজিক বাড়ে।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি১১. “ব্যবসায় ঝুঁকি গ্রহণে সচেতন হওয়া উচিত, কারণ তাতে বরকত আছে।”
— হাদিস সূত্র: বুখারি১২. “আল্লাহ সেই মানুষকে পছন্দ করেন, যে ব্যবসায় সততার সাথে চুক্তি সম্পন্ন করে।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি১৩. “মুমিন ব্যক্তির কাছে ব্যবসা হলো ইবাদতের একটি অংশ।”
— হাদিস সূত্র: ইবনে মাজাহ১৪. “হালাল ব্যবসায় উপার্জিত অর্থে কোনো শঙ্কা নেই, তাতে বরকত আছে।”
— হাদিস সূত্র: আবু দাউদ১৫. “যে ব্যক্তি কষ্ট করে নিজের পরিবারের রিজিক জোগাড় করে, সে আল্লাহর কাছে প্রিয়।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম১৬. “ব্যবসায় মিথ্যা বলা হারাম।”
— হাদিস সূত্র: সহিহ বুখারি১৭. “আল্লাহ প্রতিটি সৎ ব্যবসায়ীর উপর সন্তুষ্ট।”
— হাদিস সূত্র: ইবনে মাজাহ১৮. “ব্যবসায়ীর উচিত, দামে ন্যায় বজায় রাখা এবং প্রতারণা থেকে বিরত থাকা।”
— হাদিস সূত্র: সহিহ বোখারি১৯. “হালাল পথে রিজিক উপার্জনের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে অনেক পুরস্কার রয়েছে।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি২০. “ব্যবসায় সততা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখলে ব্যবসায় বরকত হয়।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম২১. “বেশি মুনাফার জন্য মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকো।”
২২. “সততার সাথে ব্যবসা করলে জান্নাতের অধিকারী হওয়া যায়।”
২৩. “যে ব্যক্তি হালাল পথে ব্যবসা করে, সে আল্লাহর প্রিয়।”
ব্যবসার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সততার সাথে ব্যবসা করে এবং সত্য কথা বলে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের একজন অধিকারী বানাবেন।”
১. “হালাল রিজিক উপার্জনের জন্য ব্যবসা উত্তম উপায়।”
— হাদিস সূত্র: বুখারি২. “সৎ ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সাথে থাকবে।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি৩. “যে ব্যক্তি হালাল উপার্জনের জন্য ব্যবসা করে, আল্লাহ তাকে বরকত দান করেন।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম৪. “সৎ ব্যবসায়ীর দেহে রোগব্যাধি কম থাকে।”
— হাদিস সূত্র: তাবরানি৫. “যে ব্যক্তি ব্যবসায় সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে কাজ করে, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।”
— হাদিস সূত্র: ইবনে মাজাহ৬. “যে ব্যবসায়ী লেনদেনের ক্ষেত্রে সহজ ও উদার হয়, আল্লাহ তাকে মাগফিরাত দান করেন।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি৭. “ব্যবসায়িক লেনদেনে সত্যবাদী ও সৎ থাকা একজন ব্যবসায়ীর দায়িত্ব।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম৮. “মুমিন ব্যক্তি তার রিজিকের জন্য হালাল পথে পরিশ্রম করে, তার এই পরিশ্রম আল্লাহর কাছে ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।”
— হাদিস সূত্র: বায়হাকি৯. “যে ব্যক্তি মিথ্যা ও প্রতারণা থেকে বিরত থাকে, সে জান্নাতে প্রবেশের অধিকারী হবে।”
— হাদিস সূত্র: আবু দাউদ১০. “হালাল উপার্জনকারীদের রিজিকে আল্লাহ বরকত দান করেন এবং তাদের জীবনে শান্তি নেমে আসে।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম
ব্যবসায় সততা নিয়ে ইসলামিক উক্তি
সততা ইসলামের একটি মৌলিক নীতি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে তা অপরিহার্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “সৎ ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী ও শহীদদের সাথে থাকবে।”
১. “সততা ব্যবসার মূলধন।” — হযরত উমর (রাঃ)
২. “সত্যবাদী ব্যবসায়ী আল্লাহর কাছাকাছি।” — হাদিস সূত্র: তিরমিজি
৩. “সততার সাথে ব্যবসা করলে রিজিকে বরকত হয়।” — হাদিস সূত্র: মুসলিম
৪. “যে ব্যবসায়ী সত্যবাদী, সে কিয়ামতের দিন নবীদের সান্নিধ্যে থাকবে।” — হাদিস সূত্র: তিরমিজি
৫. “অন্যায়ভাবে সম্পদ লাভে আল্লাহর অসন্তুষ্টি হয়, সততার পথে উপার্জনে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন।” — হযরত আলী (রাঃ)
৬. “সৎ ব্যবসায়ী আল্লাহর কাছে প্রিয়।” — হাদিস সূত্র: বুখারি
৭. “সততার ভিত্তিতে ব্যবসায়ের আয় দ্বিগুণ হয়।” — হযরত উসমান (রাঃ)
৮. “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলে ব্যবসায় সফল হতে চায়, সে সফলতা পায় না।” — হাদিস সূত্র: আবু দাউদ
৯. “সততার দ্বারা ব্যবসা মানুষের মাঝে সম্মান বৃদ্ধি করে।” — হযরত আবু বকর (রাঃ)
১০. “যে ব্যবসায়ী সততার পথে থাকে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন এবং তাকে বরকত দান করেন।” — হাদিস সূত্র: তিরমিজি
১১. “সৎ ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী ও শহীদদের সাথে থাকবে।”
ব্যবসা নিয়ে ইসলামিক উক্তিঃ কুরআনের আয়াত
১. “তোমরা মিথ্যা দিয়ে একে অপরের সম্পদ গ্রহণ করো না এবং বিচারকদের সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করো না যাতে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রহণ করতে পারো।”
— [সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৮৮]২. “আল্লাহ ব্যবসাকে বৈধ করেছেন এবং সুদকে নিষিদ্ধ করেছেন।”
— [সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৭৫]৩. “যে সকল লোক তাওহিদ এবং সৎ কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর নিকট পুরস্কার এবং তাদের কোনো শঙ্কা নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।”
— [সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৬২]৪. “যে কেউ সৎ কর্ম করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ব্যবসা করে, তাদের প্রতিদান আছে আল্লাহর নিকট।”
— [সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৭০]৫. “তোমরা ব্যবসা করার সময় ন্যায় ও সুবিচারের ভিত্তিতে পরিমাপ করো এবং অন্যদের সম্পদ নিয়ে প্রতারণা করো না।”
— [সূরা আল-মুতাফিফিন, আয়াত ১-৩]৬. “ওহে বিশ্বাসীগণ, তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; তবে যদি তা ব্যবসায়িক লেনদেনের মাধ্যমে হয়, যা তোমাদের সন্তুষ্ট করে।”
— [সূরা আন-নিসা, আয়াত ২৯]৭. “তোমরা ন্যায্যতা ও সুবিচার বজায় রেখে ব্যবসা করো এবং মানুষদের মধ্যে লেনদেনের সময় ন্যায়বিচার করো।”
— [সূরা আল-ইসরা, আয়াত ৩৫]৮. “তারা ব্যবসায়িক লেনদেন ও ক্রয়-বিক্রয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না বরং তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে।”
— [সূরা আন-নূর, আয়াত ৩৭]৯. “আল্লাহ প্রত্যেক বান্দার জন্য তার উপার্জনের পথ বৈধ করেছেন। যারা সৎ পথে উপার্জন করে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট।”
— [সূরা আন-নাহল, আয়াত ১১৪]১০. “যারা বিশ্বাস করে ও সৎ কাজ করে এবং ব্যবসায় সৎ থাকে, আল্লাহ তাদের রিজিক বৃদ্ধি করেন।”
— [সূরা সাবা, আয়াত ৩৯]
এই আয়াতগুলো ব্যবসার ক্ষেত্রে সততা, ন্যায়বিচার এবং হালাল উপার্জনের গুরুত্বকে তুলে ধরে। আল্লাহ ব্যবসায়ীদের সততা ও ন্যায়পরায়ণতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন, যা তাদের জীবনে বরকত বয়ে আনে। কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, “ওহে মুমিনগণ, ব্যবসার মাধ্যমে হালাল রিজিক উপার্জন করো।” আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল ও বৈধ করেছেন, তবে শর্ত হলো তা ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।
FAQ
প্রশ্ন: ব্যাবসা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
উত্তর: ইসলাম ব্যবসাকে হালাল উপার্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে, যেখানে সততা ও ন্যায়পরায়ণতা অপরিহার্য।
প্রশ্ন: ইসলাম অনুযায়ী ব্যবসা কিভাবে করতে হয়?
উত্তর: ইসলাম অনুযায়ী ব্যবসা সততা ও ন্যায়ের ওপর ভিত্তি করে করতে হয় এবং কোন প্রকার মিথ্যা ও প্রতারণা থেকে বিরত থাকতে হয়।
প্রশ্ন: ব্যবসার আরবি প্রতিশব্দ কি?
উত্তর: ব্যবসার আরবি প্রতিশব্দ হলো “তিজারাহ।”
প্রশ্ন: অনুপ্রেরণামূলক ইসলামিক উক্তি কি?
উত্তর: ব্যবসা নিয়ে ইসলামিক উক্তি “সততার সাথে ব্যবসা করলে জান্নাতের অধিকারী হওয়া যায়।”
ভাই, জীবনের পথে ব্যবসা শুধু টাকা কামানোর যন্ত্র নয়, এটা একটা পবিত্র দায়িত্বও বটে। ইসলামে ব্যবসা নিয়ে যে দিকনির্দেশনা আছে, তা শুধু সফলতার জন্য নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। আমি নিজে যখন ব্যবসা শুরু করি, তখন অনেক ভুল করেছি, কিন্তু ইসলামের শিক্ষাগুলো আমাকে বারবার সঠিক পথ দেখিয়েছে।
সততা, ন্যায়বিচার, আর ধৈর্য—এই তিনটি জিনিস যদি মেনে চলো, তাহলে দেখবে ব্যবসায় সাফল্য শুধু ধন-দৌলত নয়, বরং আত্মিক শান্তিও বয়ে আনবে। রাসুল (সা.)-এর সেই কথাটা মনে আছে? “সততা সফলতার চাবিকাঠি।” এটা শুধু একটা উক্তি নয়, এটা জীবনের বাস্তবতা। যখনই আমি সততার পথ থেকে সরে এসেছি, তখনই সমস্যায় পড়েছি। আবার যখন সততার সঙ্গে ব্যবসা করেছি, আল্লাহর রহমতও পেয়েছি।
ব্যবসা নিয়ে ইসলামিক উক্তি শুধু বইয়ের পাতায় থাকার কথা নয়, এগুলো জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে কাজে লাগানোর কথা। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, “পরস্পর সম্মতির ভিত্তিতে ব্যবসা করো।” (সূরা নিসা, আয়াত ২৯)। এই আয়াতটা আমাকে সবসময় সতর্ক রাখে। লাভের লোভে কাউকে ঠকানো, মিথ্যা বলা—এসব থেকে দূরে থাকতে শেখায়।আর ধৈর্য, ভাই! এটা তো ব্যবসার সবচেয়ে বড় সঙ্গী। রাসুল (সা.) বলেছেন, “ধৈর্য হলো আলোর চাবি।” (তিরমিজি)। যখন ব্যবসায় সমস্যা আসে, তখন এই কথাটা মনে করি। ধৈর্য ধরে আল্লাহর উপর ভরসা রাখলে, তিনি অবশ্যই উত্তম সমাধান দেন।
তাই ভাই, ব্যবসা করতে গিয়ে কখনো এই মূলনীতিগুলো ভুলো না। সততার পথে থাকো, ন্যায়বিচার করো, আর ধৈর্য ধরে আল্লাহর উপর ভরসা রাখো। দেখবে, সাফল্য শুধু ব্যবসায় নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তোমার সঙ্গী হবে। ব্যবসা নিয়ে ইসলামিক উক্তি শুধু কথার কথা নয়, এটা জীবনের দর্শন। এটাকে মেনে চলো, আর দেখো কীভাবে আল্লাহর রহমত তোমার জীবনে ছায়া ফেলে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন। আমিন।
আপনার ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা, মতামত, বা নতুন কোনো ইসলামিক উক্তি থাকলে মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না!