ব্যবসা নিয়ে ইসলামিক উক্তি যা জানলে আপনি চাকুরী ছেড়ে দেবেন!!!

ইসলামে ব্যবসাকে বৈধ উপার্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “হালাল উপার্জনের জন্য ব্যবসা একটি উত্তম উপায়।” ব্যবসার মাধ্যমে শুধু নিজেই নয়, সমাজের অন্য মানুষদের জন্যও কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়, যা সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বয়ে আনে। ইসলামে ব্যবসার মূলনীতি হলো ন্যায়নিষ্ঠা ও সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করা। ইসলামে হালাল উপার্জনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং ব্যবসাকে এক ধরনের ইবাদত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে ব্যবসার নীতি নিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ইসলামের ইতিহাসে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তাঁর কিছু বিশিষ্ট সাহাবা ব্যবসার ক্ষেত্রে অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁরা সততা, ন্যায়বিচার, এবং আল্লাহর প্রতি আস্থা রেখে ব্যবসায় পরিচালনা করেছেন। তাঁদের ব্যবসায়িক দৃষ্টান্ত আমাদের জন্য শিক্ষা এবং অনুপ্রেরণার উৎস।

খাদিজা (রাঃ)-এর বাণিজ্য সহযোগী:
নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর নবুওয়াত লাভের পূর্বেই সততা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন এবং বিভিন্ন সময়ে হযরত খদিজা (রাঃ)-এর বাণিজ্য কারবারে অংশগ্রহণ করেছেন। নবীজি (সাঃ) ব্যবসায়িক লেনদেনে সৎ ও নির্ভরযোগ্য ছিলেন, যা তাঁকে “আল-আমিন” বা “বিশ্বস্ত” উপাধিতে ভূষিত করেছিল। খদিজা (রাঃ) তাঁর সততা ও দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং পরে তাঁকে বিয়ে করেছিলেন।

সিরিয়া সফর:
নবীজি (সাঃ) তাঁর যৌবনে সিরিয়া সফর করেছিলেন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। এই সফরে তিনি খদিজা (রাঃ)-এর ব্যবসার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। সিরিয়ায় তাঁর সততা এবং ন্যায়পরায়ণতার উদাহরণ সমাজের সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছিল, যা নবীজির ব্যবসায়িক চরিত্রকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলেছিল।

সাহাবাদের ব্যবসার উদাহরণ

১. হযরত আবু বকর (রাঃ):
আবু বকর (রাঃ) একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন এবং ইসলামের প্রচারে নিজের অর্থব্যবহার করেছেন। তিনি কাপড় ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন এবং নিজের সম্পদ দিয়ে দরিদ্র মুসলিমদের সাহায্য করতেন। আবু বকর (রাঃ) তাঁর জীবনে সততা ও উদারতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

২. হযরত উসমান (রাঃ):
হযরত উসমান (রাঃ) একজন ধনী ও উদার ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি মূলত কাপড়ের ব্যবসা করতেন এবং নিজের সম্পদ ইসলাম প্রচারে ব্যয় করতেন। তাঁর বিখ্যাত দানশীলতার একটি উদাহরণ হলো, যখন মুসলিম সম্প্রদায়ের পানির অভাব দেখা দেয়, তিনি রুমার কূপ কিনে তা মুসলমানদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। তাঁর উদারতার জন্য তিনি ইসলামের ইতিহাসে “জুল নূরাইন” (দুটি নূরের অধিকারী) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

৩. হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ):
আবদুর রহমান ইবন আউফ (রাঃ) মদিনায় হিজরত করার পর ব্যবসা শুরু করেন এবং খুব দ্রুত সফল ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। তিনি মদিনায় বাজারে কাজ শুরু করেন এবং সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করেন। তিনি তাঁর উপার্জন থেকে অনেক দান করতেন এবং ইসলামের প্রচারে সাহায্য করতেন। একবার তিনি রাসুল (সাঃ)-কে ৭০০ উট বোঝাই খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী দান করেছিলেন।

৪. হযরত আলী (রাঃ):
হযরত আলী (রাঃ) কৃষিকাজ ও পানি তোলার কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি তাঁর আয়ের একটি বড় অংশ দান করতেন। আলী (রাঃ) কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা অর্জন করতেন এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে আয় করাকে সম্মান করতেন।

৫. হযরত জুবাইর ইবনে আওয়াম (রাঃ):
জুবাইর ইবনে আওয়াম (রাঃ) ছিলেন একজন স্বনির্ভর ব্যবসায়ী এবং তিনি অনেক সম্পত্তির মালিক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন খাত, যেমন পশুপালন ও কৃষিকাজে বিনিয়োগ করতেন। মৃত্যুর পর তাঁর ঋণ পরিশোধের জন্য বিশাল সম্পত্তি রেখে যান, যা ব্যবসায়িক সাফল্যেরই প্রতিফলন।

ব্যবসা নিয়ে মোটিভেশনাল উক্তি

ইসলামে ব্যবসা নিয়ে অনেক উক্তি আছে যা ব্যবসায়ীদের প্রেরণা জোগায়। কিছু মোটিভেশনাল উক্তি:

১. “সততার সাথে ব্যবসা করলে জান্নাতের অধিকারী হওয়া যায়।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি

২. “যে ব্যক্তি হালাল পথে ব্যবসা করে, আল্লাহ তার রিজিকে বরকত দান করেন।”
— হাদিস সূত্র: বুখারি

৩. “সৎ ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সাথে থাকবে।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি

৪. “মিথ্যা বলা ও প্রতারণা ব্যবসাকে ধ্বংস করে।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম

৫. “যে ব্যক্তি কাজ করে ও পরিশ্রম করে নিজের জন্য এবং তার পরিবারের জন্য রিজিক উপার্জন করে, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।”
— হাদিস সূত্র: বায়হাকি

৬. “আল্লাহ্ সেই ব্যবসায়ীকে ভালোবাসেন, যে ব্যবসায় সৎ ও ন্যায়পরায়ণ।”
— হাদিস সূত্র: ইবনে মাজাহ

৭. “ব্যবসায়ীকে অবশ্যই লেনদেনের ক্ষেত্রে সত্য বলা উচিত।”
— হাদিস সূত্র: সহিহ মুসলিম

৮. “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও প্রতারণা থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করেন।”
— হাদিস সূত্র: আবু দাউদ

৯. “হালাল পথে উপার্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ।”
— হাদিস সূত্র: সহিহ বোখারি

১০. “যে ব্যক্তি অপরের অধিকারকে সম্মান করে, তার রিজিক বাড়ে।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি

১১. “ব্যবসায় ঝুঁকি গ্রহণে সচেতন হওয়া উচিত, কারণ তাতে বরকত আছে।”
— হাদিস সূত্র: বুখারি

১২. “আল্লাহ সেই মানুষকে পছন্দ করেন, যে ব্যবসায় সততার সাথে চুক্তি সম্পন্ন করে।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি

১৩. “মুমিন ব্যক্তির কাছে ব্যবসা হলো ইবাদতের একটি অংশ।”
— হাদিস সূত্র: ইবনে মাজাহ

১৪. “হালাল ব্যবসায় উপার্জিত অর্থে কোনো শঙ্কা নেই, তাতে বরকত আছে।”
— হাদিস সূত্র: আবু দাউদ

১৫. “যে ব্যক্তি কষ্ট করে নিজের পরিবারের রিজিক জোগাড় করে, সে আল্লাহর কাছে প্রিয়।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম

১৬. “ব্যবসায় মিথ্যা বলা হারাম।”
— হাদিস সূত্র: সহিহ বুখারি

১৭. “আল্লাহ প্রতিটি সৎ ব্যবসায়ীর উপর সন্তুষ্ট।”
— হাদিস সূত্র: ইবনে মাজাহ

১৮. “ব্যবসায়ীর উচিত, দামে ন্যায় বজায় রাখা এবং প্রতারণা থেকে বিরত থাকা।”
— হাদিস সূত্র: সহিহ বোখারি

১৯. “হালাল পথে রিজিক উপার্জনের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে অনেক পুরস্কার রয়েছে।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি

২০. “ব্যবসায় সততা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখলে ব্যবসায় বরকত হয়।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম

২১. “বেশি মুনাফার জন্য মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকো।”

২২. “সততার সাথে ব্যবসা করলে জান্নাতের অধিকারী হওয়া যায়।”

২৩. “যে ব্যক্তি হালাল পথে ব্যবসা করে, সে আল্লাহর প্রিয়।”

ব্যবসার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সততার সাথে ব্যবসা করে এবং সত্য কথা বলে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের একজন অধিকারী বানাবেন।”

১. “হালাল রিজিক উপার্জনের জন্য ব্যবসা উত্তম উপায়।”
— হাদিস সূত্র: বুখারি

২. “সৎ ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সাথে থাকবে।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি

৩. “যে ব্যক্তি হালাল উপার্জনের জন্য ব্যবসা করে, আল্লাহ তাকে বরকত দান করেন।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম

৪. “সৎ ব্যবসায়ীর দেহে রোগব্যাধি কম থাকে।”
— হাদিস সূত্র: তাবরানি

৫. “যে ব্যক্তি ব্যবসায় সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে কাজ করে, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।”
— হাদিস সূত্র: ইবনে মাজাহ

৬. “যে ব্যবসায়ী লেনদেনের ক্ষেত্রে সহজ ও উদার হয়, আল্লাহ তাকে মাগফিরাত দান করেন।”
— হাদিস সূত্র: তিরমিজি

৭. “ব্যবসায়িক লেনদেনে সত্যবাদী ও সৎ থাকা একজন ব্যবসায়ীর দায়িত্ব।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম

৮. “মুমিন ব্যক্তি তার রিজিকের জন্য হালাল পথে পরিশ্রম করে, তার এই পরিশ্রম আল্লাহর কাছে ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।”
— হাদিস সূত্র: বায়হাকি

৯. “যে ব্যক্তি মিথ্যা ও প্রতারণা থেকে বিরত থাকে, সে জান্নাতে প্রবেশের অধিকারী হবে।”
— হাদিস সূত্র: আবু দাউদ

১০. “হালাল উপার্জনকারীদের রিজিকে আল্লাহ বরকত দান করেন এবং তাদের জীবনে শান্তি নেমে আসে।”
— হাদিস সূত্র: মুসলিম

ব্যবসায় সততা নিয়ে উক্তি

সততা ইসলামের একটি মৌলিক নীতি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে তা অপরিহার্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “সৎ ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী ও শহীদদের সাথে থাকবে।”

১. “সততা ব্যবসার মূলধন।” — হযরত উমর (রাঃ)

২. “সত্যবাদী ব্যবসায়ী আল্লাহর কাছাকাছি।” — হাদিস সূত্র: তিরমিজি

৩. “সততার সাথে ব্যবসা করলে রিজিকে বরকত হয়।” — হাদিস সূত্র: মুসলিম

৪. “যে ব্যবসায়ী সত্যবাদী, সে কিয়ামতের দিন নবীদের সান্নিধ্যে থাকবে।” — হাদিস সূত্র: তিরমিজি

৫. “অন্যায়ভাবে সম্পদ লাভে আল্লাহর অসন্তুষ্টি হয়, সততার পথে উপার্জনে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন।” — হযরত আলী (রাঃ)

৬. “সৎ ব্যবসায়ী আল্লাহর কাছে প্রিয়।” — হাদিস সূত্র: বুখারি

৭. “সততার ভিত্তিতে ব্যবসায়ের আয় দ্বিগুণ হয়।” — হযরত উসমান (রাঃ)

৮. “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলে ব্যবসায় সফল হতে চায়, সে সফলতা পায় না।” — হাদিস সূত্র: আবু দাউদ

৯. “সততার দ্বারা ব্যবসা মানুষের মাঝে সম্মান বৃদ্ধি করে।” — হযরত আবু বকর (রাঃ)

১০. “যে ব্যবসায়ী সততার পথে থাকে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন এবং তাকে বরকত দান করেন।” — হাদিস সূত্র: তিরমিজি

১১. “সৎ ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী ও শহীদদের সাথে থাকবে।”

ব্যবসা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত

১. “তোমরা মিথ্যা দিয়ে একে অপরের সম্পদ গ্রহণ করো না এবং বিচারকদের সাথে বিশ্বাসভঙ্গ করো না যাতে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রহণ করতে পারো।”
— [সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৮৮]

২. “আল্লাহ ব্যবসাকে বৈধ করেছেন এবং সুদকে নিষিদ্ধ করেছেন।”
— [সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৭৫]

৩. “যে সকল লোক তাওহিদ এবং সৎ কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর নিকট পুরস্কার এবং তাদের কোনো শঙ্কা নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।”
— [সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৬২]

৪. “যে কেউ সৎ কর্ম করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ব্যবসা করে, তাদের প্রতিদান আছে আল্লাহর নিকট।”
— [সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৭০]

৫. “তোমরা ব্যবসা করার সময় ন্যায় ও সুবিচারের ভিত্তিতে পরিমাপ করো এবং অন্যদের সম্পদ নিয়ে প্রতারণা করো না।”
— [সূরা আল-মুতাফিফিন, আয়াত ১-৩]

৬. “ওহে বিশ্বাসীগণ, তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; তবে যদি তা ব্যবসায়িক লেনদেনের মাধ্যমে হয়, যা তোমাদের সন্তুষ্ট করে।”
— [সূরা আন-নিসা, আয়াত ২৯]

৭. “তোমরা ন্যায্যতা ও সুবিচার বজায় রেখে ব্যবসা করো এবং মানুষদের মধ্যে লেনদেনের সময় ন্যায়বিচার করো।”
— [সূরা আল-ইসরা, আয়াত ৩৫]

৮. “তারা ব্যবসায়িক লেনদেন ও ক্রয়-বিক্রয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না বরং তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে।”
— [সূরা আন-নূর, আয়াত ৩৭]

৯. “আল্লাহ প্রত্যেক বান্দার জন্য তার উপার্জনের পথ বৈধ করেছেন। যারা সৎ পথে উপার্জন করে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট।”
— [সূরা আন-নাহল, আয়াত ১১৪]

১০. “যারা বিশ্বাস করে ও সৎ কাজ করে এবং ব্যবসায় সৎ থাকে, আল্লাহ তাদের রিজিক বৃদ্ধি করেন।”
— [সূরা সাবা, আয়াত ৩৯]

এই আয়াতগুলো ব্যবসার ক্ষেত্রে সততা, ন্যায়বিচার এবং হালাল উপার্জনের গুরুত্বকে তুলে ধরে। আল্লাহ ব্যবসায়ীদের সততা ও ন্যায়পরায়ণতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন, যা তাদের জীবনে বরকত বয়ে আনে। কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, “ওহে মুমিনগণ, ব্যবসার মাধ্যমে হালাল রিজিক উপার্জন করো।” আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল ও বৈধ করেছেন, তবে শর্ত হলো তা ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।

FAQ

প্রশ্ন: ব্যাবসা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
উত্তর: ইসলাম ব্যবসাকে হালাল উপার্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে, যেখানে সততা ও ন্যায়পরায়ণতা অপরিহার্য।

প্রশ্ন: ইসলাম অনুযায়ী ব্যবসা কিভাবে করতে হয়?
উত্তর: ইসলাম অনুযায়ী ব্যবসা সততা ও ন্যায়ের ওপর ভিত্তি করে করতে হয় এবং কোন প্রকার মিথ্যা ও প্রতারণা থেকে বিরত থাকতে হয়।

প্রশ্ন: ব্যবসার আরবি প্রতিশব্দ কি?
উত্তর: ব্যবসার আরবি প্রতিশব্দ হলো “তিজারাহ।”

প্রশ্ন: অনুপ্রেরণামূলক ইসলামিক উক্তি কি?
উত্তর: অনুপ্রেরণামূলক উক্তি হল যেমন, “সততার সাথে ব্যবসা করলে জান্নাতের অধিকারী হওয়া যায়।”

ইসলামে ব্যবসাকে বৈধ, সম্মানজনক, এবং ফজিলতপূর্ণ একটি পেশা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তাঁর সাহাবাদের জীবন থেকে আমরা সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও আল্লাহর প্রতি আস্থা রেখে ব্যবসায়িক সফলতার অসাধারণ উদাহরণ পাই। ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যবসায় শুধু লাভ অর্জন নয়, বরং মানুষের সেবা, ন্যায়বিচার এবং সততার মাধ্যমেও সফল হওয়া সম্ভব। এই আদর্শ অনুসরণ করলে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জনের পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্টিও লাভ করা যায়। তাই আমাদের উচিত ব্যবসার মাধ্যমে হালাল আয় অর্জন করা এবং ব্যবসায়িক নীতিমালা অনুযায়ী সততা ও ন্যায়পরায়ণতার পথ অনুসরণ করা।

আপনার ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা, মতামত, বা নতুন কোনো ইসলামিক উক্তি থাকলে মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না!