একটা সময় বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তা পথে অগ্রসর হওয়া অনেক ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছিল। প্রেক্ষাপট এবং চিত্র কিছুটা পরিবর্তন হলেও এখনো অনেক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এক্ষেত্রে যেসকল বাধাগুলো সবার মধ্যেই সবার মাঝেই বিদ্যমান সেগুলো হলো –
✓প্রয়োজনীয় ও সঠিক ধারণা ও তথ্যের অভাব
✓ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা
✓ব্যাংক লোন না পাওয়া
✓আর্থসামাজিক সচ্ছলতার অভাব
✓সরকারি সহায়তার ক্ষেত্রে নানা রকম জটিলতা
✓প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিভুল তথ্যের অভাব
✓ইন্টারনেট ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের অক্ষমতা
✓ব্যাংক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া ও জটিলতা
✓ব্যবসার শুরুতে লোন না পাওয়া
✓বিদেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজীকরণ না হওয়া অথবা অনেক ক্ষেত্রে অজানা
✓নারী হিসেবে সামাজিকভাবে পুরুষের তুলনায় কিছুটা দুর্বল মনে করা
✓অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতা
✓পারিবারিক বাধার সম্মুখীন হওয়া
আসলে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে হলে, প্রতিষ্ঠিত পরীক্ষিত পথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। একজন উদ্যোক্তা সবসময় নতুন প্রথম সৃষ্টি করেন। এখানে ঝুঁকির সম্ভাবনা অনেক বেশি তাই যারা এ পথে হাঁটার সাহস করেন, তাদেরকে সবার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেওয়া উচিত। তাদের জন্য এগিয়ে আসা উচিত যাতে, তারা বিফল হলেও শুরু করতে পারেন নতুন উদ্যোগ। বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তা
গয়নাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘আরটোপলিস’–এর কর্ণধার সুমাইয়া সায়েদ নিজের অভিজ্ঞতা মিলিয়েছেন অধিকাংশ নারী ও মা উদ্যোক্তাদের সঙ্গে, যাঁরা একাধারে উদ্যোক্তা ও তাঁদের সন্তানদের প্রাথমিক অভিভাবক। নিজস্ব চেষ্টায় গড়ে তোলা ভালোবাসার কাজটিতে পারিবারিক দায়বদ্ধতার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পূর্ণ সময় আর শ্রম দিতে পারেন না বলে তিনি মনে করেন।
তবে, অনলাইন ব্যবসার সুবিধাজনক দিক হলো ক্রেতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ যা ব্যবহার করে তাঁদের আস্থার জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব। আর তাঁদের নমনীয়তাও প্রশংসাসূচক বলেই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।