উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যর্থ হওয়ার কারণ
প্রথম কারণ হচ্ছে লস বা ক্ষতির ভয়, সত্যি কথা বলতে যে একজন ব্যবসায়ী লস বা ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তাহলে সে ব্যবসাটাই বুঝতে পারে না ।আপনি কি এমন কোন ধনী ব্যক্তিকে দেখেছেন যে কখনো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন নি ।
উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বাধা কি?
অর্থ হারাবার ভয় সত্যিই খুব কষ্টকর এবং এটা প্রত্যেকেরই মাঝে আছে কিন্তু এই ভয়টা কোন সমস্যাই নয় । আপনি কিভাবে ভয়টাকে মোকাবেলা করছেন সেটাই বিবেচ্য বিষয় ।আপনি আপনার ক্ষতি বা লস টা কে কিভাবে দেখছেন কিভাবে আপনার এই ব্যর্থতা মোকাবেলা করছেন সেটাই আপনাকে নতুনভাবে শেখাবে।
আপনি যদি সব সময় উদ্যোক্তা হিসেবে বা ক্ষতিকে ক্ষতি নিয়ে আতঙ্কিত থাকেন তাহলে আপনার অবস্থা এখনকার চারপাশের লোকদের মত যারা অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে তেলাপোকার মতো আছে তারা সব সময় আতঙ্কিত থাকে যে তাদের ওপর যেকোনো সময় আলো এসে পড়বে।
আপনি যদি দেউলিয়া হন তাও বড় ভাবে হন, আপনি একটা ডুপ্লেক্স এর জন্য দেউলিয়া হয়েছেন এ কথা স্বীকার করতে আপনার অসুবিধা হওয়ার কথা না। আপনার চারপাশের লোকেরা ব্যর্থতাকে এত ভয় পায় যে, তাদের কাছে দেউলিয়া হবার মতো একটা ডুপ্লেক্স নাই।
জয়ের মানে হারতে ভয় না পাওয়া
আমরা এমন কোন খেলোয়ার কে দেখিনি যে কখনো একবারের জন্য হারেনি , এরকম লোক কখনো দেখিনি যারা প্রেমে পড়েছে কিন্তু কখনো হৃদয় ভঙ্গ হয়নি ,আমার এমন কোন ধনীর সাথে দেখা হয়নি যার কখনো অর্থাভাব হয়নি ।
বেশিরভাগ লোক স্বপ্ন দেখে বড়লোক হবার কিন্তু অর্থ হারাবার ভয়ে ভীত হয়ে থাকে, তাই তারা কখনো বড়লোক হতে পারে না।
আপনার ব্যবসায় ক্ষতি বা লস হতে পারে কিন্তু সেটাকে সুযোগে পরিণত করতে চেষ্টা করাটাই হচ্ছে এর থেকে শিক্ষা নেওয়ার অংশ। আসলে যদি আপনি জিততে চান তাহলে হারকে ভয় পেলে চলবে না।
সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে হাবুডুবু খেয়ে কিছুটা পানি খাওয়া, সাঁতার শেখারই একটি অংশ । সাইকেল থেকে পড়ে যাওয়াটা সাইকেল চালাতে শেখার একটি অংশ।
আপনার যদি অল্প অর্থ থাকে, আর আপনি ধনী হতে চান প্রথমে আপনার দৃষ্টি নিবন্ধ করতে হবে আপনি কি চান তার উপর।
আপনি যদি ধনী হতে চান ব্যবসায়ী হতে চান তাহলে অবশ্যই নিজেকে প্রকাশ করুন। অল্প কয়েকটা ঝুড়িতে অনেকগুলো ডিম রাখুন, গরীব আর মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেরা যা করে তা করবেন না। অল্প কয়টা ডিম তারা অনেকগুলো ঝুড়িতে ছড়িয়ে রাখে।
একটা ওষুধের কোম্পানি জাতীয় টিভিতে একটা বিজ্ঞাপন দেখানো যে লোকজন সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে, এটা দেখার পর লোকদের সর্দি কাশি বেড়ে যায়। আর সাথে সাথে তাদের সর্দির ওষুধ বিক্রি ও বৃদ্ধি পায়।
এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে, আমরা আমাদের মস্তিষ্কে এবং মনে যে ধরনের তথ্য সরবরাহ করি বাস্তবে সেই ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তাই আপনি যদি ব্যস্ততার তথ্য দেন, তাহলে আপনি ব্যস্ত হবেন। আর যদি আপনি সফলতার তথ্য দিতে পারেন, তাহলে আপনি সফল হবেন।
রুজভেল্ট এর বক্তব্য, তুমি হৃদয় থেকে যা ঠিক মনে কর, তাই করো। কারণ তোমার সমালোচনা হবেই তুমি করলেও হবে, না করলেও হবে।
আপনার জ্ঞান আপনার অর্থোপার্জনে সাহায্য করে
শুরু করা এটা অনেকটা সাইকেল চালানোর মত্ কিছুক্ষণ এদিক ওদিক অনিশ্চিত ভাবে চালানোর চেষ্টা করার পর ব্যাপারটা আয়ত্তে আসে ।
তবে অর্থের ব্যাপারে অবশ্যই তাল সামলানোর চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। জীবন একটি মাত্র সুবর্ণ সুযোগ খুঁজে বার করার জন্য, অসামান্য অর্থগত প্রতিভা থাকা প্রয়োজন ।
আমার বিশ্বাস আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে এক আর্থিক প্রতিভাধর ব্যক্তি আছে, সমস্যা হচ্ছে যতক্ষণ না সেই আর্থিক প্রতিভাকে জাগানো যায় ততক্ষণ তা সুপ্ত।
পরিশ্রম করে কাজ করো, অর্থোপার্জন কর, এমন উপদেশ এখনো দেওয়া হয়। চারপাশের সর্বত্র সোনা আছে বেশিরভাগ লোক সেটা দেখার প্রশিক্ষণ পায়নি।
সুতরাং সফল হতে হলে আপনাকে সোনার সন্ধান করতে হবে। একমাত্র সুযোগসন্ধানী মানুষগুলোই প্রয়োজনের সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ, একজন ব্যবসায়ীকে সফল করে তোলে।