ব্যবস্থাপকের কার্যাবলী
কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের অধিনে এক বা একাধিক ব্যবস্থাপক কাজ করতে পারেন। নিদিষ্ট মেয়াদের শুরুতে মালিক ব্যবস্থাপককে কাজের একটা লক্ষ্য স্থির করে দেন এবং মেয়াদ শেষে ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে লক্ষের বিপরীতে ফলাফল আশা করেন। ব্যবস্থাপকের লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিচের ৬টি উপাদানের প্রয়োজন হয় যাকে সংক্ষেপে ৬M বলে।
- কাঁচামাল (Materials)
- যত্নপাতি (Machine)
- জনশক্তি (Manpower)
- প্রযুক্তি (Method)
- অর্থ (Money)
- বাজার (Market)
উপরের ৬টি উপাদান ব্যবহার করে ব্যবস্থাপক তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য সচেষ্ট হন। এর জন্য ব্যবস্থাপককে নিচের মূল কার্যাবলী সম্পাদন করতে হয়।
- পরিকল্পনা করা (Planning)
- সংগঠিত করা (Organizing)
- পরিচালনা করা (Leading)
- নিয়ন্তন করা (Controlling)
উপরের কার্যাবলীকে সংক্ষেপে POLC বলা হয়।
সংগঠন ব্যবস্থাপনা
- প্রতিষ্ঠানের আইনগত অবস্থা কি? (ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি)
- মালিক/মালিকগনের পরিচিতি ও অভিজ্ঞতা কি?
- মালিক/মালিক গনের ব্যক্তিগত সম্পদ কি?
- মালিক/মালিকগনের পূর্বতন ঋনের বর্তমান অবস্থা কি?
- প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে পরিচলিত হবে?
- মালিক গনের ভূমিকা?
- প্রধান প্রধান কর্মকর্তার ভূমিকা?
ম্যানেজারের দায়িত্ব
একজন ব্যবস্থাপকের উচিৎ অধিনস্থদের জন্য খুব সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির (Target) করা।
- যদি অধিনস্তদের সব সময় তিরস্কার করা হয় , তাহলে তাদের মনোবল ক্ষুন্ন হবে ।
- যদি অধিন¯তদের সব সময় প্রসংসা করা হয় , তাহলে তারা আত্বগরিমায় ভূগবে
- তিরস্কার ও প্রশংসাবিহীন অবস্থা, বেখেয়ালী ব্যবস্থাপনার নিদর্শন ।
ব্যবসা পরিচালনায় আইনী কাঠামো
ব্যবসা করতে হলে উদ্যোক্তাদের রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে এবং নিয়ম কানুন ভঙ্গ করা অপরাধ। তাই উদ্যোক্তাদের আইনী কাঠামো সম্পর্কে জানা আবশ্যক । একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল সম্ভাবনা ও ভবিষ্যতের জন্য নিন্ম লিখিত ব্যবসায়িক কাগজ পত্রের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়ঃ
- ব্যবসা করার জন্য সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন হতে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহন করতে হবে
- স্থানীয় কর অফিস হতে টিন (Tax Identification Number-TIN) নিতে হবে(যদি তার আয়কর প্রযোজ্য হয়)
- মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) Value Added Tex-VAT) সার্টিফিকেট নিতে হবে (যদি তার ব্যবসায় ভ্যাট প্রযোয্য হয় )
৪. ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে
ট্রেড লাইসেন্স
সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বৈধ ব্যবসায়ের অনুমতি পত্রই হল ট্রেড লাইসেন্স। সাধারনত বিভাগীয় শহরে সিটি কর্পোরেশন, জেলা শহরের পৌর সভা এবং ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবসায়ে অনুমতি প্রদানের জন্য ট্রেডলাইসেন্স ইস্যু করে থাকেন । ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করলে একজন উদ্যোক্তা নিম্নে বর্নিত সুবিধা পেয়ে থাকে-
- বৈধ ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারবে
- ব্যাংক হিসাব খুলতে সাহায্য পাবে
- ব্যাংক হতে ঋন নিতে পারবে
- সরকার হতে আইনগত সুবিধা পাবে
আর্থিক প্ররোচক (Financial Incentives):
- সমানুপাতিক ও কর্মানুপাতিক মজুরি
- প্ররোচনামূলক মজুরী প্রদান
- সুষ্ঠ পদন্নোতির ব্যবস্থা
- উৎপাদন ও উৎসব বোনাস
- বাসস্থান সুবিধা
- পরিবহন সুবিধা
- কোম্পানী কর্তৃক বীমার অর্থ প্রদান
- মুনাফার শরিকানা
- সাবসিডাইজড রেশন
- প্রান্তিক সুবিধাদি
- গৃহ নির্মান ঋন
অনার্থিক প্ররোচক (Non Financial Incentives)
- কার্য সমৃদ্ধিকরণ ও কার্য সম্প্রসারন
- ফলাফলের জ্ঞান
- সিদ্ধাত অংশগ্রহনের সুযোগ
- চাকুরীর নিরাপত্তা
- স্বায়ত্বশাসন
- পদোন্নতির সুযোগ
- সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক
- উত্তম যোগাযোগ
- সৃজনশীলতায় উৎসাহ প্রদান
- প্রশিক্ষনের সুবিধা
- সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা
- ব্যক্তিগত ক্ষমতা ও প্রভাব