মুদি দোকান ডেকোরেশন ডিজাইন
দোকানে পণ্য সাজানোর ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে-
- ক্রেতা যেন দোকানে এসে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে ।
- দোকানটির সাজ ও আসবাব এমন হতে হবে যাতে দোকানে একটি সুন্দর পরিবেশের আবির্ভাব ঘটে ।
- পন্যটি এমনভাবে প্রদর্শন করতে হবে যাতে ক্রেতা এটি সহজেই দেখতে পায় এবং পর্যবেক্ষন ও করতে পারে ।
- যতদূর সম্ভব পন্যটি ক্রেতার চোখ বরাবর প্রদর্শন করতে হবে যাতে এটি ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়।
- দোকানটির সামনের দিকাটিকে আকর্ষনীয় জিনিস দিয়ে সাজাতে হবে যাতে দোকনের প্রতি আকর্ষিত হয়ে দুরকমের ক্রেতাই দোকােন চলে আসে-নিয়মিত যারা কিনে থাকে এবং যারা সম্ভাব্য ক্রেতা তারাও ।
- দোকানের ভিতরে স্বাচ্ছন্দে চলাচলের জন্য যতেষ্ট জায়গা থাকতে হবে যাতে ক্রেতার চলার পথে কোন বাধা না পড়ে ।
- পন্যগুলো সুন্দর ভাবে সাজানোর জন্য প্রয়োজন মত তাক ব্যবহার করতে হবে ।
- দোকানটির ভিতরটিকে আকর্ষনীয় রং দিয়ে সাজালে একটি উৎফুল্ল পরিবেশের সৃষ্টি হবে যেখানে কেনা কাটা করতে ক্রেতার ভালো লাগবে ।
- ক্যাশ কাউন্টারটি একটি নিরাপদ স্থানে বসাতে হবে ( যেমন এটা যেন দরজার কাছাকাছি না হয়) এবং বিক্রির লেনদেনের কাজটি দ্রুত সম্পাদন করতে হবে ।
- পন্যের ষ্টোর ক্রেতার দৃষ্টির বাইরে হতে হবে ।
- ষ্টোরের ব্যবস্থা এমন হতে হবে যাতে সহজেই পন্যগুলো সেখান থেকে বের করে আনা যায় ।
- এটা আবশ্যক নয় যে দোকানে ক্রেতার বসার ব্যবস্থা থাকতে হবে- তবে বিক্রয় প্রতিনিধির বসার ব্যবস্থা থাকতে হবে ।
- প্রতিটি প্রদর্শিত পণ্যতে মূল্য থাকেতে হবে ।
- দোকানের সামগ্রিক চেহারা ছিমছাম এবং পরিপাটি হতে হবে ।
যে পন্য প্রর্দশতি হবে সটো অবশ্যই পরস্কিার পরচ্ছিন্ন এবং বিক্রয় যোগ্য অবস্থায় থাকতে হবে
বাকীতে বিক্রির বিবেচ্য বিষয়াবলী
- যে কোন দ্রব্য/সেবা ক্রয়ের বিনিময়ে নগদ এবং বাকী প্রদানের ব্যাপারে সব ব্যবসায়ীদের অবশ্যই একটি নীতিমালা থাকা উচিৎ।
- এই নীতিমালাটি ব্যবসার লেনদেন সম্পর্কিত সব কাগজ পত্রের উপর সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- ব্যবসাটি যে জায়গায় অবস্থিত সেখানে প্রদর্শন করতে হবে ।
- যে সব ক্রেতার অধিক পরিমানে দ্রব্য এবং মালামাল কিনে থাকে তাদেও জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা থাকা উচিৎ ।
- বাকীতে বিক্রির ব্যাপারে ক্রয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে ক্রেতাকে ইনভয়েস পাঠানো ভালো ।
- নতুন ক্রেতার বাকীতে মাল কেনা বেচার অভ্যাস কি রকম তা জানেন কি ?
- যেখানে প্রযোজ্য, সেখানে আপনার ক্রেতার ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে তার লেনদেনের দক্ষতা সম্পর্কে তথ্য নিন।
- সকল প্রকার লেনদেন নগদ অর্থে করার চেষ্টা করুন। চোকের স্থলে নগদ অর্থে পেমেন্ট হলে ডিসকাউন্টের ঘোষনা দিন।
- প্রতি মাসে বিক্রেতাকে সে সব ক্রেতার নাম লিখে রাখা উচিৎ যার কাছে সে টাকা পায় ।
- এই বাকীর পরিমান এবং বকেয়ার সময় লিখে রাখা আবশ্যক ।
- যারা দেরীতে হিসাব পরিশোধ করে তাদের জন্য কিছুটা অতিরিক্ত প্রদানের ব্যবস্থা রাখা ভালো।
- ব্যক্তিগতভাবে সে সব ক্রেতাদের কাছে গিয়ে কথা বলা উচিৎ যারা হিসাব পরিশোধের ব্যপারে দু’মাসের বেশী সময় নেয়।