কীভাবে নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করবেন (A টু Z)

নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা করতে চান? বা আপনার ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিতে চান? তাহলে একটি সঠিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আপনার প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু কীভাবে এই পরিকল্পনা তৈরি করবেন? ভাবছেন তো? চিন্তার কিছু নেই, আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে সহজে এবং কার্যকরভাবে একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করা যায়।

ব্যবসায়িক পরিকল্পনা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা হলো আপনার ব্যবসার রোডম্যাপ। এটি আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথ দেখায়। যেমন, আপনি যদি ভ্রমণে বের হন, তাহলে গুগল ম্যাপ ছাড়া পথ হারানোর সম্ভাবনা থাকে। ঠিক তেমনই, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ছাড়া ব্যবসা চালানো ঝুঁকিপূর্ণ।

১. স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন:
প্রথমেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, “আমি আসলে কী করতে চাই?” আপনার ব্যবসার লক্ষ্য কী? এটি কি আয় বাড়ানো, নতুন গ্রাহক আকর্ষণ করা, নাকি নতুন পণ্য চালু করা? স্পষ্ট লক্ষ্য ছাড়া পরিকল্পনা করা কঠিন।

২. বাজার গবেষণা করুন:
আপনার টার্গেট কাস্টমার কারা? তাদের চাহিদা কী? প্রতিযোগীরা কী করছে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজার বুঝলে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।ব্যবসা করতে গেলে বাজার গবেষণা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে আপনার টার্গেট গ্রাহক, প্রতিযোগী এবং বাজার ট্রেন্ড সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়। কিন্তু কীভাবে বাজার গবেষণা করবেন? চলুন ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক।

বাজার গবেষণার ধাপ সমূহ: 

১. আপনার গবেষণার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

প্রথমেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, “আমি কী জানতে চাই?”

  • আপনি কি গ্রাহকদের চাহিদা বুঝতে চান?
  • নাকি প্রতিযোগীদের কৌশল জানতে চান?
  • অথবা বাজারের নতুন ট্রেন্ড সম্পর্কে জানতে চান?

স্পষ্ট লক্ষ্য ছাড়া গবেষণা করলে সময় ও শ্রম নষ্ট হবে। তাই শুরু করার আগেই ঠিক করুন আপনি আসলে কী জানতে চান।

২. প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করুন

প্রাথমিক তথ্য হলো সেই ডেটা যা আপনি সরাসরি সংগ্রহ করেন। এটি খুবই নির্ভরযোগ্য এবং আপনার ব্যবসার জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য। কিভাবে সংগ্রহ করবেন?

  • সরাসরি জরিপ: গ্রাহকদের সাথে কথা বলুন। প্রশ্ন করুন তাদের পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে।
  • ইন্টারভিউ: কিছু টার্গেট গ্রাহক বা বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
  • ফোকাস গ্রুপ: একদল মানুষের সাথে আলোচনা করে তাদের মতামত জানুন।

৩. মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহ করুন

মাধ্যমিক তথ্য হলো সেই ডেটা যা ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করা আছে। এটি সহজলভ্য এবং কম খরচে পাওয়া যায়। কোথায় পাবেন?

  • ইন্টারনেট: বিভিন্ন রিপোর্ট, আর্টিকেল এবং ব্লগ পড়ুন।
  • সরকারি ডেটা: সরকারি ওয়েবসাইটে বাজার সম্পর্কিত তথ্য পেতে পারেন।
  • ইন্ডাস্ট্রি রিপোর্ট: বিভিন্ন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট দেখুন।

৪. ডেটা বিশ্লেষণ করুন

এবার সংগ্রহ করা তথ্য গুছিয়ে ফেলুন।

  • গ্রাহকদের চাহিদা কী?
  • প্রতিযোগীরা কী করছে?
  • বাজারের নতুন ট্রেন্ড কী?

এই তথ্য বিশ্লেষণ করে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনার ব্যবসার জন্য কোন দিকটি সবচেয়ে ভালো হবে।

৫. প্রতিযোগী বিশ্লেষণ করুন

আপনার প্রতিযোগীরা কী করছে, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • তাদের পণ্য বা সেবার মান কেমন?
  • তাদের মূল্য কৌশল কী?
  • তারা কীভাবে গ্রাহকদের আকর্ষণ করছে?

এই তথ্য জানলে আপনি আপনার ব্যবসাকে আরও ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারবেন।

৬. গ্রাহকদের চাহিদা বুঝুন

গ্রাহকরা কী চায়, তা জানা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

  • তাদের পছন্দ-অপছন্দ কী?
  • তারা কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে?
  • আপনার পণ্য বা সেবা দিয়ে কীভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারেন?

গ্রাহকদের চাহিদা বুঝলে আপনি তাদের জন্য সঠিক পণ্য বা সেবা দিতে পারবেন।

৭. ফলাফল গুছিয়ে লিখুন

সব তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করার পর, এটি গুছিয়ে লিখুন।

  • আপনার গবেষণার মূল ফলাফল কী?
  • আপনার ব্যবসার জন্য কী সুযোগ আছে?
  • কী চ্যালেঞ্জ হতে পারে?

৩. আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করুন:
ব্যবসায় টাকাপয়সার হিসাব সবার আগে। কত টাকা বিনিয়োগ করবেন? মাসিক খরচ কত হবে? কত আয়ের আশা করছেন? এই হিসাবগুলো আগে থেকে করলে ঝুঁকি কমবে।

কিভাবে আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করবেন: 

আর্থিক পরিকল্পনা হলো আপনার ব্যবসার হৃদয়। এটি ছাড়া ব্যবসা চালানো অনেকটা অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ানোর মতো। কিন্তু কীভাবে এই পরিকল্পনা তৈরি করবেন? ভাবছেন তো? চিন্তা করার কিছু নেই, আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে সহজে এবং কার্যকরভাবে একটি আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করা যায়।

আর্থিক পরিকল্পনা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

আর্থিক পরিকল্পনা হলো আপনার ব্যবসার আর্থিক স্বাস্থ্যের একটি ছবি। এটি আপনাকে জানায়:

  • কত টাকা বিনিয়োগ করবেন?
  • মাসিক খরচ কত হবে?
  • কত আয়ের আশা করছেন?

এটি আপনার ব্যবসাকে সঠিক পথে রাখতে সাহায্য করে। যেমন, আপনি যদি ভ্রমণে বের হন, তাহলে গুগল ম্যাপ ছাড়া পথ হারানোর সম্ভাবনা থাকে। ঠিক তেমনই, আর্থিক পরিকল্পনা ছাড়া ব্যবসা চালানো ঝুঁকিপূর্ণ।

১. আয়ের উৎস নির্ধারণ করুন:
প্রথমেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, “আমি কোথা থেকে আয় করবো?” আপনার ব্যবসার আয়ের উৎস কী? এটি কি পণ্য বিক্রি, সেবা প্রদান, নাকি অন্য কিছু? স্পষ্ট ধারণা ছাড়া পরিকল্পনা করা কঠিন।

২. খরচের হিসাব করুন:
আপনার ব্যবসায় কত খরচ হবে? মাসিক ভাড়া, কর্মচারী বেতন, কাঁচামালের দাম ইত্যাদি হিসাব করুন। খরচের হিসাব সঠিক না হলে আর্থিক সমস্যা হতে পারে।

৩. লাভের হিসাব করুন:
আপনি কত লাভের আশা করছেন? এটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লাভের হিসাব সঠিক না হলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন।

৪. বাজেট তৈরি করুন:
একটি বাজেট তৈরি করুন যেখানে আপনার আয় ও খরচের হিসাব থাকবে। এটি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

৫. জরুরি তহবিল রাখুন:
ব্যবসায় অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা হতে পারে। তাই জরুরি তহবিল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে যেকোনো সমস্যা মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।

পরিকল্পনা লেখার সময় মনে রাখবেন

  • সহজ ভাষা ব্যবহার করুন: জটিল শব্দ বা টেকনিক্যাল টার্ম ব্যবহার না করাই ভালো। আপনার পরিকল্পনা যেন যে কেউ বুঝতে পারে।
  • বাস্তবসম্মত লক্ষ্য রাখুন: অতিরিক্ত উচ্চাশা না করে বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
  • নিয়মিত আপডেট করুন: আর্থিক পরিকল্পনা একবার লিখে ফেলে ভুলে যাবেন না। সময়ের সাথে সাথে এটি আপডেট করুন।

ধরুন, আপনি একটি ছোট কফি শপ খুলতে চান। আপনার আর্থিক পরিকল্পনায় থাকতে পারে:

  • আয়ের উৎস: কফি বিক্রি, স্ন্যাকস বিক্রি, ইভেন্ট হোস্টিং ইত্যাদি।
  • খরচের হিসাব: মাসিক ভাড়া ২০,০০০ টাকা, কর্মচারী বেতন ৩০,০০০ টাকা, কাঁচামালের দাম ১৫,০০০ টাকা ইত্যাদি।
  • লাভের হিসাব: মাসিক আয় ১,০০,০০০ টাকা, খরচ ৬৫,০০০ টাকা, লাভ ৩৫,০০০ টাকা।
  • বাজেট: মাসিক বাজেট তৈরি করুন যেখানে আয় ও খরচের হিসাব থাকবে।
  • জরুরি তহবিল: কমপক্ষে ৩ মাসের খরচ সমপরিমাণ তহবিল রাখুন।

আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করা কোনো রকেট সায়েন্স নয়। এটি শুধু আপনার চিন্তাগুলোকে গুছিয়ে লেখার একটি প্রক্রিয়া। সঠিক পরিকল্পনা আপনার ব্যবসাকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে। তাই আজই শুরু করুন, এবং দেখুন কীভাবে আপনার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়!

৪. পণ্য বা সেবার বিবরণ দিন:
আপনি কী বিক্রি করবেন? আপনার পণ্য বা সেবার বিশেষত্ব কী? গ্রাহকরা কেন আপনার কাছ থেকে কিনবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার পরিকল্পনায় থাকা উচিত।

৫. বিপণন কৌশল ঠিক করুন:
গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর উপায় কী? সোশ্যাল মিডিয়া, বিজ্ঞাপন, নাকি সরাসরি বিক্রয়? আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের উপর ভিত্তি করে সঠিক কৌশল বেছে নিন।

  • সহজ ভাষা ব্যবহার করুন: জটিল শব্দ বা টেকনিক্যাল টার্ম ব্যবহার না করাই ভালো। আপনার পরিকল্পনা যেন যে কেউ বুঝতে পারে।
  • বাস্তবসম্মত লক্ষ্য রাখুন: অতিরিক্ত উচ্চাশা না করে বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
  • নিয়মিত আপডেট করুন: ব্যবসায়িক পরিকল্পনা একবার লিখে ফেলে ভুলে যাবেন না। সময়ের সাথে সাথে এটি আপডেট করুন।

ধরুন, আপনি একটি ছোট কফি শপ খুলতে চান। আপনার পরিকল্পনায় থাকতে পারে:

  • লক্ষ্য: স্থানীয় গ্রাহকদের জন্য মানসম্মত কফি সরবরাহ করা।
  • বাজার গবেষণা: এলাকায় কতজন কফি পছন্দ করেন? প্রতিযোগী কফি শপগুলোর দাম ও মান কেমন?
  • আর্থিক পরিকল্পনা: মাসিক ভাড়া, কফি বিনের দাম, কর্মচারী বেতন ইত্যাদি হিসাব করুন।
  • বিপণন কৌশল: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার, লয়্যালটি কার্ড চালু করা ইত্যাদি।

ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করা কোনো রকেট সায়েন্স নয়। এটি শুধু আপনার চিন্তাগুলোকে গুছিয়ে লেখার একটি প্রক্রিয়া। সঠিক পরিকল্পনা আপনার ব্যবসাকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে। তাই আজই শুরু করুন, এবং দেখুন কীভাবে আপনার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়!

একটি ভালো পরিকল্পনা আজই আপনার ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।

 নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা নমুনা

 

প্রতিবেদন জমাদানকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা

জমা দানের তারিখঃ : 

অধ্যায়সূচীপৃষ্ঠা
প্রকল্পের সারাংশপ্রকল্পের সারাংশ 
SWOT AnalysisSWOT Analysis 
ব্যবসাপরিকল্পনার চারটি দিকব্যবসা পরিকল্পনার চারটি দিক 
1.0বিপনন পরিকল্পনা
2.0উৎপাদন পরিকল্পনা
3.0সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা
4.0আর্থিক পরিকল্পনা

প্রকল্পের সারাংশ

১.         প্রকল্পের নাম ——————————————————-

২.         প্রকল্পের অবস্থান—————————————————-

৩.        মালিকানার ধরণ—————————————————–

৪.         পন্য/ সেবার ধরণ—————————————————-

৫.        কাঁচামালের উৎস—————————————————–

৬.        দক্ষ শ্রমিকের উৎস—————————————————-

৭.         উৎপাদিত পন্য/সেবার বাজার পরিধি————————————-

প্রকল্প ব্যয়

ক্রমিক নংসর্বমোট খরচ
1.ভূমি ও ভূমি উন্নয়ন
2.ভবন ও অন্যান্য কাঠামো
3.অগ্রিম ঘর ভাড়া
4.যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামসমূহ
5.আসবাবপত্র, অফিস, কারখানা ও শো-রুম সাজানো
6.পরিবহন/যানবাহন
7.উৎপাদনপূর্ব ব্যয়

. আইনগত খরচ———————————–

. পরীক্ষামূলক খরচ———————————

. উৎপাদনপূর্ব প্রসার খরচ—————————

. পানি সংযোগ/কলের মূল্য————————–

. বিদ্যুৎ সংযোগ————————————

. গ্যাস সংযোগ————————————-

8.মোট স্থায়ী মূলধন (Fixed capital)
9.মোট চলতি মূলধন (Working capital)
10.মোট বিনিয়োগ  (8+9)

 

আর্থিক অবস্থা

নংবিবরণ১ম বৎসর২ য় বৎসর৩ য় বৎসর
1.মোট বিক্রয় 
2.মোট লাভ 
3.নীট লাভ 

 

Ratio Analysis করুন

ক. মোট বিনিয়োগের উপর ফেরতের হার (%)
নীট লাভ
—————X 100
মোট বিনিয়োগ
 
 
খ. স্থায়ী বিনিয়োগের উপর ফেরতের হার (%)
নীট লাভ
—————–x 100
স্থায়ী বিনিয়োগ
 
 
গ. বিক্রয়ের উপর ফেরতের হার (%)
নীট লাভ
————-x 100
মোট বিক্রয়
 
 
ঘ. নিজস্ব বিনিয়োগের উপর ফেরতের হার (%)
নীট লাভ
——————–x 100
নিজস্ব বিনিয়োগ

SWOT বিশ্লেষন

Strengths (সবল দিকসমূহ)

Weaknesses (দুর্বল দিকসমূহ )

Opportunities (সুযোগ সমূহ)

Threats (ভীতি সমূহ)

নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা চারটি দিক

 

. বিপনন পরিকল্পনা

  •  বিপনন পরিকল্পনা
  •  কে আমার পন্যের ক্রেতা?
  •   কে আমার পন্যের ব্যবহারকারী?
  •   পন্যটি কোথায় বিক্রয় করা হবে?
  •   বিক্রয় বাজারে চাহিদা কত?
  •   কতটা পন্য বিক্রি করা হবে?
  •   প্রতিযোগীরা কতদামে বিক্রয় করছে?
  •   কত দামে বিক্রি করা হবে(পাইকারী/খুচরা)?
  •   প্রকৃত ব্যবহারকারীর কাছে কিভাবে পন্য/সেবা পৌছানো হবে?
  •   পাইকার/ব্যবহারকারী গন কিভাবে উদ্বুদ্ব হবে?
 

উৎপাদন পরিকল্পনা

  •  কতটা উৎপাদন করব?
  •   কখন উৎপাদন করব?
  •   কোথায় উৎপাদন করব?
  •   কি এবং কতটা কাঁচামাল লাগবে?
  •   কি এবং কতটা মোড়ক লাগবে?
  •   কি কি যন্তরপাতি, যন্তরাংশ এবং জ্বালানী লাগবে?
  •   ঘর বাড়ী/জমি কতটা লাগবে?
  •   পানি/বিদ্যুৎ/টেলিফোন কি লাগবে?
  •   পরিবহনের ব্যবস্থা কি?
  •   ইন্সুরেন্স ব্যবস্থা কি?
 

. সংগঠন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা

  •   প্রতিষ্ঠানের আইনগত অবস্থা কি?
  •  মালিক/মালিকগনের পরিচিতি ও অভিজ্ঞতা কি?
  •   মালিক/মালিক গনের ব্যক্তিগত সম্পদ কি?
  •   মালিক/মালিকগনের পূর্বতন ঋনের বর্তমান অবস্থা কি?
  •   প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে পরিচলিত হবে?
  •  মালিক গনের ভূমিকা?
  •  প্রধান প্রধান কর্মকর্তার ভূমিকা?
 

. আর্থিক পরিকল্পনা

  •   কি ভাবে অর্থের যোগান হবে?
  •  স্থায়ী খরচ কত হবে?
  •  চলতি মূলধন কত হবে?
  •   মোট বিনিযোগ কত হবে?
  •   নিজস্ব মুলধন কত?
  •   ব্যাংক ঋন কত?
  •  ঋনের সুদ ও পরিশোধ কেমন?
  •  আগামী (২/৩) বছরে আনুমানিক লাভ কত?
  •   নগদ প্রবাহের অবস্থা কি?

 

 

. বিপনন পরিকল্পনা

 

. পণ্যের লক্ষ্য বাজার(এখানে আপনার বিক্রয় এলাকা সম্পর্কে বলুন।)

 

 

. পণ্যের লক্ষ্য ক্রেতা( শ্রেণী/বয়স/লিঙ্গের ভিত্তিতে আপনার লক্ষ্য ক্রেতাকে বিশ্লেষণ করুন)

 

 

. লক্ষ্য বাজারে  চাহিদা কত

 

১.৪ আগামী বৎসর সমূহে আপনার লক্ষ্য বাজারে অনুমিত বিক্রয় কত হতে পারে (১.৩ দেখুন)

পণ্যের নাম১ম বৎসরে বিক্রি২য় বৎসরে বিক্রি (X)
পরিমাণটাকাপরিমাণটাকা

১.৫ মূল্য নির্ধারণ ( এখানে আপনার পন্যের  মূল্য প্রতিযোগীদের পণ্যের মূল্যের বিবরণ দিন)

পণ্যের নামবাজারে বিক্রিত আপনার পণ্যের গুণের সমকক্ষ অন্যদের পণ্যের একক বিক্রয় মূল্য লিখুনআপনার পণ্যের একক মূল্য
পাইকারীখুচরাপাইকারীখুচরা

১.৬ উপরোক্ত চাহিদার ভিত্তিতে আপনি আগামী বৎসর (বৎসর সমূহে) কি পরিমান উৎপাদন করবেন ?

পণ্যের নামএকক বিক্রয় মূল্যপরিমানবিক্রয় মূল্য (টাকা)
১ম বৎসর২য় বৎসর১ম বৎসর২য় বৎসর
পরিমান (১ম বৎসর) ঃবিক্রয় মূল্য (টাকা) (১ম বৎসর) ঃ

১.৭ বিপণন কৌশল

বাজারে প্রতিযোগীরা যে সম¯ত কৌশল অবলম্বন করেছে তার আলোকে আপনার পণ্যের

বিপণন কৌশল (পণ্য, মূল্য, বিতরন ও প্রসার কৌশল) আলোচনা করুন

(ক) পণ্য কৌশল

(খ) মূল্য কৌশল

(গ) প্রসার কৌশল (এখানে প্রসারের জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তার বিবরন দিন)

প্রসার খরচ ঃ ………………………………………………..টাকা

পণ্য উৎপাদনের পরে প্রসার কৌশল

প্রসার খরচ ঃ…………………………………………………… টাকা

(ঘ) বিতরন কৌশল

আপনার ক্রেতার কাছে পন্য পৌছানোর জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তার বিবরণ দিন।

বার্ষিক বিতরন খরচ ঃ …………………………………………………. টাকা

 

. উৎপাদন পরিকল্পনা

 

২.১ উৎপাদন ক্ষমতা ও প্রস্তাবিত উৎপাদন

(এখানে পন্য বা সেবার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ও প্রস্তাবিত//পরিকল্পিত উৎপাদন বিষয়ে আলোচনা করবেন)

পণ্যের নামবার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতাপরিকল্পিত উৎপাদন
১ম বৎসরে বিক্রি২য় বৎসরে বিক্রি
পরিমানটাকাপরিমানটাকা
100%

2.2 মান নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি (মান নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কি গ্রহন করবেন তার বিবরন দিন)

২.৩ পরিবেশ ও বর্জ নিষ্কাশন ব্যবস্থা (বিবরণ দিন)

২.৪ ঘর ভাড়া

ঘরের আকৃতিমাসিক ভাড়ামোট ভাড়া (বার্ষিক)
ক. কারখানা ঘর
খ. অফিস/শো-রুম
গ. অগ্রিম ভাড়া (যদি লাগে)

২.৫ যন্ত্রপাতির বিবরণ

ক্রমিক নংযন্ত্রপাতির নামপরিমানএকক মূল্য (টাকা)মোট মূল্য(টাকা)
1.
2.
3.
4.
5.
6.
7.
8.
9.
10.
11.
মোট

২.৬  মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ (১ম বৎসরের খরচ)ঃ ………………………………..টাকা

২.৭  পরীক্ষামূলক উৎপাদন খরচঃ……………………………………………………. টাকা

২.৮  তেল, মবিল ও অন্যান্য জ্বালানী খরচ (১ম বৎসরের জন্য)ঃ . ……………………টাকা

২.৯  পরিবহন মূল্যঃ………………………………………………………………….. টাকা

২.১০ কাঁচামাল ও মোড়কের খরচ (১ম বৎসরের জন্য) উৎপাদনের ঘাটতি (ধিংঃধমব) হিসাব করে লিখুন

ক্রমিক নংকাঁচামাল ও মোড়কের নামপরিমাণএকক মূল্যমোট মূল্য
1.
2.
3.
4.
5.
6.
7.
8.
9.
10.
11.
12.
13
14.
মোট মূল্য

২.১১ কাঁচামাল পরিবহনের বার্ষিক খরচঃ……………………………….. টাকা

২.১২ পানি সরবরাহ

(ক) সংযোগ খরচ/ কলের মূল্য…………………………………… টাকা

(খ) ১২ মাসের বিল………………………………………………. টাকা

২.১৩ বিদ্যুৎ বিল খরচ

(ক) সংযোগ খরচ………………………………………………. টাকা

(খ) ১২ মাসের বিল………………………………………………. টাকা

২.১৪            (ক) গ্যাস সংযোগ ——————————————টাকা

(খ) গ্যাস বিল     ——————————————টাকা

 

. সংগঠন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা

৩.১ মানব সম্পদের বিবরণ

এখানে উৎপাদনের সাথে সরাসরি যুক্ত এমন সম¯ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিবরণ দিনঃ

পদের  নামপদের সংখ্যামাসিক বেতন/চুক্তির টাকাসর্বমোট বার্ষিক বেতন/ ভাতা

(উৎসব ভাতাসহ ১৩ মাসের বেতন)

৩.২ প্রশাসনিক খরচ

এখানে উৎপাদনের সাথে সরাসরি যুক্ত নয় এমন সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিবরণ দিনঃ

পদের  নামপদের সংখ্যামাসিক বেতন/চুক্তির টাকাসর্বমোট বার্ষিক বেতন/ ভাতা

(উৎসব ভাতাসহ ১৩ মাসের বেতন)

৩.৩ আপ্যায়ন খরচ ঃ ——————————————————– টাকা

৩.৪ আইনগত খরচ (ট্রেড লাইসেন্স) ঃ —————————————-  টাকা

৩.৫ আসবাবপত্র, অফিস, কারখানা ও শো-রুম সাজানোর খরচঃ———————টাকা

৩.৬ অফিস ষ্টেশনারী ঃ  ………………………………………………………………..টাকা

৩.৭  ডাক, টেলিফোন, ফ্যাক্স ঃ ………………………………………………………..টাকা

৩.৮  ভ্রমন খরচ ঃ ………………………………………………………………………টাকা

 

.আর্থিক পরিকল্পনা

৪.১ বিনিয়োগ

ক্রমিক নংসর্বমোট খরচ
1.অগ্রিম ঘর ভাড়া
2.যন্ত্রপাতি
3.আসবাবপত্র, অফিস, কারখানা ও শো-রুম সাজানোর খরচ
4.পরিবহন
5.প্রারম্ভিক খরচ
ক. আইনগত খরচ
খ. পরীক্ষামূলক উৎপাদন খরচ
গ. উৎপাদনপূর্ব প্রসার খরচ
ঘ. পানি সংযোগ/কলের মূল্য
ঙ. গ্যাস সংযোগ
চ. বিদ্যুৎ সংযোগ
6.মোট স্থির মূলধন (Fixed capital)
7.চলতি মূলধন (Working capital)
8.মোট বিনিয়োগ (6+7)

4.2 চলতি মূলধন (Working capital)

সুদ ও অবচয় পূর্ব মোট উৎপাদন ও বিক্রয় খরচ-টাকা
ব্যবসা চক্র-সপ্তাহ/মাস
সর্বমোট চলতি মূলধন-টাকা

. অর্থায়ন

মোট বিনিয়োগ                    ………………………………………………… টাকা

নিজ অর্থ                           ………………………………………………… টাকা

ঋণ                                 ………………………………………………… টাকা

১২ মাসের  আসল                  ………………………………………………… টাকা

১২ মাসের সুদ                       ………………………………………………… টাকা

১২ মাসের সুদ ও আসল               ……………………………………………….টাকা

 

৪.৪ ঋন পরিশোধ সিডিউল

সময়কাল (বছর)প্রদেয় আসলসুদ পরিশোধআসল পরিশোধমোট পরিশোধ (সুদ+আসল)
0
1
2
3
4
5
মোট

সুদের হার (%)                                      {সুদ=ঋনের পরিমান  সুদের হার (%)}

১০০

ঋন পরিশোধ কাল(বছর) ঃ

৪.৫ মোট স্থায়ী সম্পদ ও অবচয়

#বিবরণমোট বিনিয়োগজীবন মেয়াদ (বছর)% হার/অবচয় (বার্ষিক) টাকা
1.ভূমি ও ভূমি উন্নয়ন
2.দালান ও অন্যান্য কাঠামো
3.যন্ত্রপাতি
4.আসবাবপত্র,অফিস, কারখানা ও শো-রুম সাজানোর খরচ
5.পরিবহন
6.অগ্রিম ভাড়া
7.পরিচালন পূর্ব খরচ/ প্রারম্ভিক খরচ

 

{অবচয়ের হার (বার্ষিক)ঃ দালান @ ৫%, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ @ ১০%, আসবাব পত্র ও তৈজসপত্র @ ২০%, পরিবহন@২০% অবচয়ের হার বিবেচনা করা যেতে পারে}

 

4.6 আয় ব্যয়ের হিসাব (Income Statement)

 

নংবিবরণ১ম বৎসরএকক মূল্য
1.মোট বিক্রয়
2.উৎপাদন ও বিক্রয় খরচ
ক.কাঁচামাল ও প্যাকিং খরচ
খ.কারখানার বেতন ভাতা (শ্রমিক)
গ.প্রশাসনিক বেতনাদি
ঘ.কারখানা ভাড়া
ঙ.অফিস ভাড়া
চ.যন্ত্রাংশ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ
ছ.পরিবহন খরচ (কাঁচামাল আনয়ন ও বাজারজাত করন)
জ.পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী (বার্ষিক)
ঝ.অফিস ষ্টেশনারী (বার্ষিক)
ঞ.ডাক, টেলিফোন, ফ্যাক্স ইত্যাদি (বার্ষিক)
ট.ভ্রমন খরচ (বার্ষিক)
ঠ.অন্যান্য খরচ (বার্ষিক)
ড.সুদ ও অবচয় পূর্ব মোট উৎপাদন ও বিক্রয় খরচ
ঢ.সুদ/সার্ভিস চার্জ (বার্ষিক)
ন.অবচয় ও রাইট অফ (বার্ষিক)
3.মোট উৎপাদন, বিক্রয়, অবচয় ও সুদ/সার্ভিজ চার্জ খরচ
4. মোট লাভ ( ১-৩)
5.বাদঃ ১২ মাসের আসল (কিস্তি)
6.নীট লাভ

Leave a Comment