প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ২০২৩
আপনি আপনার ব্যবসা বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অর্থায়নের জন্য একটি ঋণ খুঁজছেন? যদি তাই হয়, আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাঙ্ক ঋণ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হতে পারেন। এই ব্লগটি আপনাকে এই ধরনের ঋণ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবে, যার মধ্যে যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা, আবেদন প্রক্রিয়া এবং পরিশোধের সময়সূচী রয়েছে। এই ব্লগটি পড়ার মাধ্যমে, আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তহবিল সুরক্ষিত করার এক ধাপ এগিয়ে যাবেন!
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সাধারণত চার ধরনের ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে সেগুলো হলো-
- অভিবাসন ঋণ / মাইগ্রেশন লোন
- পূণর্বাসন ঋণ (রিহাবিলিটেশন লোন)
- বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
- বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ
ব্যবসায়ী লোন এর জন্য আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২০২৩
অভিবাসন ঋণ / মাইগ্রেশন লোন
অভিবাসন ঋণ প্রাপ্তির প্রাথমিক যোগ্যতাঃ
১. আপনার ঘনিষ্ঠ আত্বীয় বা নিয়োগ কর্তার মাধ্যমে যদি আপনি বিদেশে চাকুরীর জন্য ভিসা লাভ করে থাকেন।
আবেদনকারীকে নিয়োগকারী/ব্যক্তিগত ভাবে সংগৃহীত ভিসার ০২ কপি (ভিসা যাচাইয়ের জন্য) ফটোকপি ও মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। উক্ত ভিসা ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে যাচাই করে আবেদনকারীকে ব্যাংক হতে ফোন / এস.এম.এস-এর মাধ্যমে জানানো হবে।
২. আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার ঘনিষ্ঠ জন ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
৩. অভিবাসন ঋণ গ্রহণের জন্য জামিনদারের অবশ্যই আর্থিক সচ্ছলতা থাকতে হবে।
৪. ভিসা যাচাইয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে নিম্মে বর্ণিত কাগজপত্রসহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে।
ভিসা সঠিক পাওয়ার পরবর্তী করণীয়ঃ
১. অভিবাসন ঋণ গ্রহণের নিমিত্তে আবেদন ফর্ম প্রাপ্তির পূর্বে ব্যবস্থাপনা পরিচালক / ব্যবস্থাপক-এর বরাবর আবেদন করতে হবে।
২. নমুনা অনুযায়ী আবেদন করার পরে অভিবাসন ঋণের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
৩. আবেদনকারীর সদ্য তোলা ০৩ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি,পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি,বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
৪. আবেদনকারীর জামিনদারদের প্রত্যেকের সদ্য তোলা ০২ কপি করে সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা / ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
৫. অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে কর্মীকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে।
৬. অভিবাসী কর্তৃক আয়কৃত সমুদয় রেমিটেন্স উক্ত সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করতে হবে।
৭. অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে কর্মীকে বীমা সুবিধা নিতে হবে।
৮. জামিনদারদের যে কোন এক জনের ব্যাংক একাউন্টের চেক এর ০৩টি পাতা (চেক MICR হতে হবে ) প্রদান করতে হবে।
৯. আবেদনকারীকে দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত ভিসা ও লেবার কন্ট্রাক্ট (যেখানে প্রাপ্ত বেতন ভাতাদির উল্লেখ রয়েছে) এর ফটোকপি (০২ কপি) এবং স্থানীয় ভাষায় অনুবাদকৃত ভিসার ফটোকপি কপি (প্রয়োজন সাপেক্ষে) এবং ভিসার যথার্থতা বিষয়ে বিএমইটি/বোয়েসেলের প্রত্যায়ন ।
১০. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি (যদি থাকে) প্রদান করতে হবে।
১১. শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে ।
১২. অভিবাসন ব্যয়ের বিবরণী সাদা কাগজে লিখিত।
১৩. আবেদনকারীর বিদেশের কর্মস্থলের ঠিকানা, টেলিফোন নং / ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি (যদি সম্ভব হয়)।
BMET কর্তৃক ইস্যুকৃত ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের উভয় পিঠের সত্যায়িত ফটোকপি ।
১৪. কর্ম অভিজ্ঞতার সনদ ।
১৫. যে এজেন্সীর মাধ্যমে বিদেশে যাবেন অথবা বিমান টিকেট ক্রয় করবেন সে এজেন্সী কর্তৃক সম্ভাব্য যাত্রার তারিখ সহ প্রত্যায়ন।
১৬. বিমান টিকেটের ফটোকপি। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১৭. ঋণ ফেরত প্রদানের হলফনামা।
অভিবাসন ঋণ পরিশোধের চার্জ ও নিয়মাবলীঃ
১. অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার মাত্র শতকরা ০৯ টাকা।
২. পরিশোধের দিন হতে সর্বোচ্চ ০২(দুই) মাস গ্রেস পিরিয়ড প্রদান করা হয়।
৩. দেশ ভেদে প্রাপ্ত ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ০২ বছর (২২ টি মাসিক কিস্তিতে গৃহীত ঋণ পরিশোধ করতে হবে)। যেমনঃ সৌদিআরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত,বাহারাইন, মরিশাস , ব্রুনাই, কাতার, ইতালি, ইউরোপ, ইত্যাদি।
৪. সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে ১০ কিস্তিতে ০১ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার সহজ উপায়! সর্বশেষ আপডেট ২০২৩
পূণর্বাসন ঋণ (রিহাবিলিটেশন লোন)
ঋণ বিতরণের খাতসমূহঃ-
১) কৃষি ঋণ প্রকল্প। ২) মাঝারী ধরনের কৃষি নির্ভর শিল্প ঋণ প্রকল্প। ৩) মুরগীর খামার প্রকল্প। ৪) মৎষ চাষ প্রকল্প। ৫) বায়োগ্যাস প্লান্ট প্রকল্প। ৬) সৌর জ্বালানী খাত প্রকল্প। ৭) তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোক্তা ঋণ প্রকল্প। ৮) একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প। ৯) নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রকল্প। ১০) গরু মোটা তাজাকরন প্রকল্প। ১১) দুদ্ধ উৎপাদনকারী খামার প্রকল্প।
ঋণ প্রাপ্তির প্রাথমিক যোগ্যতাঃ
১. পূণর্বাসন ঋণ প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারীকে বিদেশ প্রত্তাগত হতে হবে এবং তার বৈধ কাগজ-পত্র থাকতে হবে।
২. পূণর্বাসন ঋণ প্রাপ্তির জন্য আবেদকারীকে প্রবাস প্রত্যাগমনের ০৫ (পাঁচ) বছরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারীর বৈধ ব্যবসা বা প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে শুরু করার পর আবেদন করতে হবে।
৪. আবেদনকারীর আর্থিক সংগতি যেমনঃ- জামানতের জন্য গ্যারান্টিকৃত সম্পত্তি নিজ নামে / পিতার নামে থাকতে হবে।
৫. ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ জীবন বৃত্তান্ত প্রদান করার পর তা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত হলে ঋণ প্রদান করা হবে।
৬. কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রাথমিক আবেদন গৃহিত হলে ঋণ সম্পর্কিত মূল ফরমটি পূরণ করে জমা দিতে হবে।
৭. ঋণ গ্রহণকালে জামানতকৃত সম্পত্তির মালিকানার দলিলাদিসহ অন্যান্য কাগজপত্র প্রদান করতে হবে।
ঋণ গ্রহণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিম্নরুপঃ-
আপনি প্রবাস প্রত্যাগত হলে আপনাকে স্বাবলম্বী করতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সহজ শর্তে পূণর্বাসন ঋণ প্রদানে প্রস্তুত।
এ ঋণ পেতে হলে নিম্মলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজনঃ-
১. আবেদনকারীর আবেদন পত্রসহ পারিবারিক তথ্য সংবলিত জীবন বৃত্তান্ত ।
২.আবেদনকারীর সদ্য তোলা ০৩ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা / ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৩.হাল নাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি।
৪.প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ সহ প্রকল্পের ঠিকানা । নতুন প্রকল্প হলে আগামী ০২ (দুই) বছরের সম্ভাব্য আয়-ব্যয় বিবরণী।
৪. প্রকল্পের স্থানঃ
(ক) ভাড়া করা হইলে ভাড়ার চুক্তিপত্রের ফটোকপি।
(খ) নিজস্ব জায়গা হইলে মালিকানার প্রমাণপত্র।
(গ) পুরোনো প্রকল্প হলে ০২ বছরের লাভ/লোকসানের হিসাব ও ঋণ গ্রহীতার নিজস্ব বিনিয়োগের পরিমান।
৫.জমির দলিলপত্রাদি/পর্চা/খারিজ খতিয়ান ও হাল সনের খাজনার দাখিলার সত্যায়িত ফটোকপি (যেটা জামানত দিবেন)।
৬.আবেদনকারীর জামিনদারদের প্রত্যেকের সদ্য তোলা ২ কপি করে সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা / ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি।৭. এছাড়াও যে সকল ব্যাক্তি জামিনদার হবেন তাদের নিম্নবলিখিত কাগজপত্র। যেমনঃ
ক) জামিনদারের আর্থিক সংগতির কাগজ পত্র । (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে)
খ) জামিনদারগনের স্থায়ী/ অস্থায়ী ঠিকানার পূর্ণ বিবরণ।
৮.বিদেশ থেকে প্রত্যাগমণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। যেমনঃ
ক) কি কারনে ফিরে আসলেন তার বিবরণ।
খ) কবে ফিরেছেন (সাল/তারিখ) পাসপোর্ট এর কপি সহ।
গ) পূনরায় যাবার সম্ভাবনা / ইচ্ছা আছে কি না থাকলে এর কারন কি ? এর বিবরণ।
৯.আবেদনকারীর কর্ম অভিজ্ঞতার সনদপত্র। যথাঃ
ক) হাঁস-মুরগী পালন, গরু-ছাগল পালন, মৎস চাষ ইত্যাদি প্রকল্পের জন্য কোন প্রশিক্ষণ/অভিজ্ঞতা থাকলে তার সনদপত্র।
খ) হাতের কাজ আসবাবপত্র তৈরি ও অন্য কোন পেশার অভিজ্ঞতা থাকলে তার বিবরণ।
১০. আর্থিকভাবে ও সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত (০২) জন পরিচয় দানকারীর নাম ও ঠিকানা ফোন নং সহ ।
১১. ঋণ সংক্রান্ত তথ্যাবলীঃ ক) ব্যক্তিগত ঋনের বিবরণ। ( অন্য কোন ঋণ থাকলে তার বিবরণী) খ) কোন সংস্থা, এনজিও, ব্যাংক হতে ঋণ নিয়ে থাকলে তার বিবরণ।
১২. ঋণ খেলাপি কি না ( হ্যাঁ/ না )
১৩. ঋণ ফেরত দানের হলফনামা।
ঋণ পরিশোধের চার্জ ও নিয়মাবলীঃ
সুদের হার শতকরা ০৯ (নয়) টাকা।
প্রকল্পের ধরন অনুযায়ী ঋণের গ্রেস পিরিয়ড নির্ধারিত হবে।
সূত্রঃ অনলাইন সোর্স
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ বাংলাদেশী কোন নাগরিক BMET কর্তৃক Emigration Clearance Card প্রাপ্ত হয়ে চাকুরীর উদ্দেশ্যে বিদেশে অবস্থান করলে সে ক্ষেত্রে ব্যাংক ঐ ব্যক্তি বা তার উপর নির্ভরশীল পরিবারের যে কোন সদস্য (পিতা, মাতা, স্বামী/স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বােন) কে সহজ শর্তে জামানতবিহীন/জামানতসহ ঋণ প্রদান করবে যা বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ হিসাবে আখ্যায়িত হবে।
০১) বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ এর খাতসমূহঃ
ক) কৃষি খাতঃ ১. মৎস্য সম্পদ ২. প্রাণী সম্পদ
খ) কুটির শিল্প/ক্ষুদ্র শিল্প প্রকল্প
গ) বাণিজ্যিক খাত
(০২) ঋণের ধরণঃ
ক) প্রকল্প ঋণ (Project loan);
খ) চলতি পুঁজি/নগদ ঋণ (Working capital)
(০৩) ঋণ সীমাঃ
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ অর্থাৎ প্রকল্প ঋণ ও চলতি পুঁজিনগদ ঋণ এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঋণ সীমা ১০.০০ (দশ) লক্ষ টাকা।
(০৪) ঋণের প্রকৃতিঃ
ক) জামানতবিহীন ঋণঃ জামানতবিহীন ঋণ সর্বোচ্চ ২.০০ (দুই) লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে ব্যাংকের নিকট গ্রহণযােগ্য ন্যূনতম দুইজন গ্যারান্টরের গ্যারান্টি (একজন হবে সংশ্লিষ্ট প্রবাসী) নিতে হবে। ঋণ গ্রহীতার এবং দুইজন গ্যারান্টরের ন্যূনতম একজনের স্বাক্ষরিত ০৩ (তিন) টি করে চেকের পাতা নিতে হবে।
খ) জামানতসহ ঋণঃ ঋণের পরিমাণ ২.০০ (দুই) লক্ষ টাকার উর্ধে হলে সহজামানত গ্রহণ করতে হবে। ঋণের বিপরীতে ঋণ গ্রহীতা/গ্যারান্টরের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তি রেজিস্ট্রি মর্টগেজমূলে ব্যাংকের অনুকূলে দায়বদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি আদালতের হস্তক্ষেপ ব্যতিরিকে বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রয়ের নিমিত্তে রেজিস্টার্ড আমমােক্তারনামা নিতে হবে। ঋণগ্রহীতার স্বাক্ষরিত ০৩ (তিন) টি চেকের পাতা নিতে হবে।
(০৫) ব্যাংক ঋণ পাওয়ার যােগ্যতাঃ
ক) বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
খ) আবেদনকারীকে শাখার অধিক্ষেত্র (Command area) এর স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
গ) বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বৎসরের মধ্যে হতে হবে।
ঘ) অভিবাসী পরিবারের যে সদস্য বিদেশে আছেন তার প্রমাণপত্র সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র (পাসপাের্ট বহির্গমণ | সীলযুক্ত পাতাসহ, ভিসা, স্মার্টকার্ড) ফটোকপি।
ঙ) অভিবাসী ব্যক্তির অনুরােধপত্র এবং রেমিট্যান্স এর বিবরণী নিতে হবে।
চ) অভিবাসী ব্যক্তি বিদেশে ন্যনতম ০১ (এক) বছরের কম কর্মরত থাকলে আবেদন গ্রহণ যােগ্য হবে না।
ছ) প্রকল্প/প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে যােগ্যতা/অভিজ্ঞতা/প্রশিক্ষণ থাকতে হবে (স্বপক্ষে প্রমাণপত্র থাকলে নিতে হবে। প্রমাণপত্র না থাকলে শাখা ব্যবস্থাপক যাচাই করে ঋণ দিতে পারবে)।
জ) অন্য কোন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এনজিও অথবা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান হতে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ঋণ পাওয়ার যােগ্য বলে বিবেচিত হবে না (শাখার অধিক্ষেত্রের ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গােপনীয় মতামত নিতে
ঝ) উম্মাদ, দেউলিয়া, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামী ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন ।
ঞ) অভিবাসী ব্যক্তি অত্র প্রতিষ্ঠান হতে ঋণ খেলাপি হলে তার পরিবারের কোন সদস্য বা নিকটতম আত্মীয় বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না
(০৭) ঋণের গ্যারান্টরের যােগ্যতাঃ
ক) ঋণ পরিশােধে সক্ষম ঋণ আবেদনকারীর পিতা/মাতা/স্বামী/স্ত্রী/ভাই/বােন/নিকটতম আত্নীয় এবং ঋণ পরিশােধে
সক্ষম এমন ব্যক্তি যিনি আর্থিকভাবে সচ্ছল ও সমাজে গণ্যমান্য তিনিও গ্যারান্টর হতে পারবেন।
খ) প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে ন্যনতম দুইজন গ্যারান্টর নিতে হবে।
গ) গ্যারান্টরকে শাখার অধিক্ষেত্রের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
ঘ) একজন গ্যারান্টর সর্বোচ্চ দুইজন ঋণগ্রহীতার গ্যারান্টর হতে পারবেন।
ঙ) অভিবাসী ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক গ্যারান্টর হতে হবে।
(০৮) সুদের হারঃ সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত সুদের হার অত্র ঋণের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে। বর্তমানে সুদের হার হবে ০৯% চক্রবৃদ্ধি।
(০৯) ঋণ ও ইকুইটি অনুপাতঃ
ক) প্রকল্প ঋণের ক্ষেত্রে ঋণ ও ইকুইটি (ব্যাংকঃ গ্রাহক) অনুপাত হবে ৬০: ৪০।
খ) ক্যাশ ক্রেডিট/ওয়ার্কিং ক্যাপিটেল ঋণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম মার্জিন ৫০% ।
(১০) চলতি হিসাবঃ নূ্যনতম ১,০০০/-(এক হাজার) টাকা জমা গ্রহণ করে চলতি হিসাব খুলতে হবে এবং এক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাংকের হিসাবের ০৬ (ছয়) মাসের লেনদেন বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।
(১১) ঋণ মঞ্জুরী/ব্যবসায়িক ক্ষমতাঃ বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণের পরিমাণ যাই হােক না কেন ঋণ মঞ্জুরী/ব্যবসায়িক ক্ষমতা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উপর ন্যস্ত থাকবে।
ক) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার উপর অর্পিত ক্ষমতা প্রয়ােজনবােধে অধীনস্থ কর্মকর্তাদের উপর আংশিক বা সামগ্রিকভাবে অর্পন (Delegation) করতে পারবেন।
খ) অর্পিত ক্ষমতা প্রয়ােজনবােধে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাময়িকভাবে রহিত/স্থগিত করতে পারবেন।
(১২) হিসাব পদ্ধতিঃ আলােচ্য ঋণের সুদ চার্জ ইত্যাদির হিসাব পদ্ধতি নিম্নরূপ
(ক) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ০৯% হারে (পরিবর্তনশীল) Reducing পদ্ধতিতে চক্রবৃদ্ধি সুদ আরােপ করতে
হবে। (খ) খেলাপী ঋণ গ্রহীতার হিসাবে মেয়াদোত্তীর্ণের পরবর্তী সময় নির্ধারিত সুদের হারের সাথে অতিরিক্ত
২% হারে সুদ চার্জ হবে।
(১৩) সহজামানততব্য সম্পত্তির বিষয়ে আইনগত মতামত সহজামানত ঋলের ক্ষেত্রে আইনগত মতামত গ্রহণ করতে হবে (আইনগত মতামতের ফি গ্রাহক বহন করবেন। এ ক্ষেত্রে ঋণ আবেদনের সময় জামানতত্য সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল পপি শাখায় জমা দিতে হবে।
(১৪) জামানততব্য সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণঃ জামানততব্য সম্পত্তির Force value (ফোর্স ভ্যেলু) এবং মৌজা মুল্য এই দুইয়ের মধ্যে যেটি কম তার ন্যূনতম ১.৫০ গুন সহজামানত হিসেবে নিতে হবে।
(১৫) পল্লী এলাকার বসতবাড়ী বন্ধকী হিসাবে গ্রহণঃ ভুমি সংস্কার বিষয়ক ১৯৮৪ সনের ১০নং অধ্যাদেশের আওতায় পল্লী এলাকার বসতবাড়ীর মালিককে আইনের কোন বিধান দ্বারা উচ্ছেদ করা যাবে না। তপ্রেক্ষিতে, পল্লী এলাকার বসতবাৰ্জী বন্ধক হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। সতৰাষ্ট্ৰী ৩৩ শতাংশ বাদ দিয়ে অতিরিক্ত হলে বন্ধক হিসেবে অতিরিক্ত অংশ নেয়া যাবে, তবে তা সুচিহ্নিত হতে হবে ও যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং এককালে তফসিলে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
(১৬) রেজিষ্ট্রি বন্ধক গ্রহণ ক) ২.০০ (দুই) লক্ষ টাকার উর্ধে ঋণের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে জামানতকৃত সম্পত্তি রেজিটা বন্ধ করতে হবে (রেজিষ্ট্রি বন্ধক ফি গ্রাহক বহন করবেন। খ) বন্ধকী সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল পত্রাদির মেমােরেন্ডাম অফ টাইটেল ডিঙ নিতে হবে।
(১৭) ঋণ বিতরণ পদ্ধতিঃ প্রকল্প ঋণের মজুরীকৃত অর্থ ন্যূনতম ০২টি কিস্তির মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে।১ম কিস্তির অর্থ সম্বাবহার করা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হয়ে ব্যবস্থাপক ২য় কিস্তি বিতরণ করবেন। ৩.০০ (তিন) লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যবস্থাপক এবং ৩.০০ (তিন) লক্ষ টাকার উন্ধে হলে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)/অডিট টিম কর্তৃক সন্ধ্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বাণিজ্যিক ঋণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মেয়াদ ও ঋণসীমার মধ্যে লেনদেন করতে পারবেন।
(১৮) ঋণের উদ্দেশ্য/ খাতঃ দেশের বিদ্যমান আইন সময় সময় সরকার কর্তৃক ঘােষিত নির্দেশনা মােতাবেক নিষিদ্ধ না এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক উৎপাদনশীল/বাণিজ্যিক/সেবামুলক যে কোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ঋণের খাত হিসাবে বিবেচিত হবে।
আরও জানুন-
The 100 Best Business Ideas in Bangladesh 2024
Discover the Top 10 new business ideas in Bangladesh
How to Obtain an E-Trade License in BD: A Step-by-Step Guide!
ফ্রিল্যান্সিং এ ১০ টি সহজ কাজ যা করে সফল হওয়া যায়
personal loan bd: meet the crisis at your tuff time
Ami Singapore probashi ami akta lon korte chai…onek din jabot gortechi kinto koto lon pachi na..amar Bangladesh akta babosha ache ami babosha parate chai
Ami ki kore lonta paba…amra probashi ra jodi probashi kallyan bank lon na pai. Tahole kicher jonno back