ব্যবসায়ের কৌশলগত ব্যবস্থাপনা

ব্যবসায়ের কৌশলগত ব্যবস্থাপনা হচ্ছে ব্যবসায় সাফল্যের মূল উপাদান। কৌশলগত ব্যবস্থাপনার উপাদানগুলো আলোচনা করা হল-

নেতৃত্বদান

নেতৃত্বদানে বিবেচ্য উপাদানসমূহ:

  • কার্যকরভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করার সামর্থ্য
  • স্থান ও সময়ভেদে একজন মানুষের প্রেষণার কারণ ও ধরণ বুঝতে পারার সামর্থ
  • কাউকে কোন কাজ করার জন্য উদ্দীপ্ত করার ক্ষমতা
  • কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরী করার ক্ষেত্রে নিজের আচরণকে সংযত ও নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থ
  • সমস্যা সমাধান ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা

নেতৃত্বদানের কৌশল:

  • প্রত্যেক কর্মীর সামনে অর্জনযোগ্য একটি লক্ষ্য ঠিক করে দেয়া
  • উচ্চাকাঙ্খী / উচ্চাভিলাসী করে তোলা
  • আচরনের বৈচিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরা
  • উদ্দীপনা তৈরী করা
  • ব্যক্তিগত আত্মবিশ্বাসী প্রমান করা
  • বিভিন্ন তথ্য খুঁজে বের করা ও তার কার্যকর ব্যবহার করা
  • সহযোগীতা ও সহমর্মীতার মনোভাব পোষণ করা

সমন্বয় :

  • সমন্বয় সাধনের ক্ষেত্রে মূল উপাদানসমূহ :
  • সমতা বিধান করা
  • সামঞ্জস্য সাধন করা
  • সময়ের সুষম ব্যবহার
  • একতা নিশ্চিত করা
  • অবশ্যই সুসংগঠিতভাবে কাজ করা

নিয়ন্ত্রণ :

নিয়ন্ত্রণের ৩টি মূল উপাদান হলো :

  • মাপকাঠি নির্ধারণ
  • মাপকাঠির ভিত্তিতে অর্জিত ফলাফল পরিমাপ
  • নির্ধারিত মাপকাঠি অনুযায়ী ফলাফল অর্জিত না হলে পরিকল্পনার সংশোধন

নিয়ন্ত্রণের কৌশলসমূহঃ

  • পরিকল্পনা ও বর্তমান অবস্থার সমন্বয় সাধন করা
  • প্রত্যেক ব্যবস্থাপক / তত্ত্বাবধায়ক / কর্মীর কাজকে নিয়ন্ত্রণ করা
  • ব্যতিক্রম ও জটিল বিষয়গুলোকে খুঁজে বের করে সমাধান করা
  • নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করা
  • প্রতিষ্ঠানের পরিবেশের সাথে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সামঞ্জস্য বিধান করা
  • সংশোধনের জন্যই নিয়ন্ত্রণ বিষয়টি পরিস্কার করা
  • ক্রেতা / ভোক্তার জন্য উৎপাদিত পণ্যের সঠিক ও সর্বোচ্চ কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা

Leave a Comment