উৎপাদন ব্যবস্থাপনা কি

সূচনা (Introduction)

উৎপাদন হলো কোন পণ্য বা সেবাকে রূপান্তরের মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য করার প্রক্রিয়া। উৎপাদন ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এমন একটি কৌশল যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট দ্রব্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলোর ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা যায়। আর এ ধারাবাহিক কাজগুলো হচ্ছে উৎপাদন পরিকল্পনা প্রনয়ন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান, সমন্বয সাধন, নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতকরণ এবং কারখানার রক্ষনাবেক্ষণ কলাকৌশল। এছাড়া উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনা এ দু’টি শব্দের বিশ্লেষণের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারনা লাভ করা যায়।

উৎপাদন কাকে বলে (Meaning of Production) 

সাধারণ অর্থে উৎপাদন বলতে নতুন কোন বস্তু তৈরি বা সৃষ্টি করাকে বুঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে এরূপ অর্থে উৎপাদন কথাটি ব্যবহৃত হয় না। সহিত্যকার অর্থে মানুষ কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারে না। বস্তু বা পদার্থ মহান সৃষ্টিকর্তার দান। মানুষ শুধ মাত্র প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদকে নতুন আকৃতি বা রূপ দিয়ে অধিকতর উপযোগী করে তুলতে পারে। অথবা পদার্থের উপযোগ সৃষ্টি করতে পারে। উপযোগ বলতে মানুষের অভাব মেটানোর ক্ষমতা বা ব্যবহার যোগ্যতাকে বুঝায়। উপযোগ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অর্থনীতির ভাষায় উৎপাদন বলে। তবে সে উপযোগের অবশ্যই বিনিময় মূল্য থাকতে হবে। মানুষ তার জ্ঞান, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা কর্মশক্তি ও কারিগরি দক্ষতা প্রয়োগে প্রাকৃতিক পদার্থে অতিরিক্ত উপযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে এক অধিকতর জনকল্যাণে নিয়োগ করে থাকে।

উপযোগ আবার পাঁচ প্রকার: যথা-রূপগত উপযোগ, স্থানগত, সময়গত, হস্তান্তরজনিত, সেবাগত উপযোগ।

রূপান্তর উপযোগ: তুলা থেকে সুতা ও কাপড় তৈরি, ইস্পাত থেকে ছুরি, কাঁচি বা অস্ত্রশস্ত্র তৈরি প্রভৃতি রূপান্তর উপযোগ সৃষ্টির অন্তর্ভূক্ত।

স্থানগত উপযোগ: পদ্মার ইলিশ ঢাকার বাজারে স্থানান্তর করে স্থানগত উপযোগ সৃষ্টি করা যায়।

সময়গত উপযোগ: এছাড়া পৌষ মাসের ধান গুদামজাত করে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসের জন্য সময়গত উপযোগ সৃষ্টি করা যায়।

হস্তান্তরজনিত উপযোগ: কোন ব্যক্তির নিকট উপযোগ কম থাকলে তার মালিকানা থেকে যে ব্যক্তির নিকট পণ্যটির উপযোগ অধিক তার কাছে পণ্যটি এভাবে সৃষ্টি হয় হস্তান্তরজনিত উপযোগ। যেমন-কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় কেউ লোকসানের সম্মুখীন হলে মালিকানা পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যবসা লাভজনক করে তোলা যায়।

সেবাগত উপযোগ: মানুষ তার শ্রম বা সেবামূলক কাজের দ্বারা যে উপযোগ সৃষ্টি বা বৃদ্ধি করে থাকে তার সেবাগত উপযোগ বলা হয়। যেমন: চিকিৎসক চিকিৎসা করেন, শিক্ষক শিক্ষাদান করেন।

 উৎপাদন ব্যবস্থাপনার অর্থ (Meaning of Production Management)

এতক্ষণ আমরা “উৎপাদন” সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। অপর পক্ষে ব্যবস্থাপনা হলো কলা বা কৌশল যা সমগ্র কার্যাবলী সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সাহায্য করে। অতএব উৎপাদন ব্যবস্থাপনা হলো উৎপাদানের সহায়ক বিভিন্ন কার্যাবলী গ্রহণ এবং প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পূর্ব পরিকল্পিত পণ্য সামগ্রী কিংবা সেবা প্রস্তুত করা। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা এরুপ এক প্রকার ব্যবস্থাপনা যা সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পরিচালনার দ্বারা শিল্প প্রতিষ্ঠানের সে অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে যা কাঁচামালের চূড়ান্ত পণ্যে রূপাস্তরিত করার কাজে নিয়োজিত।

বিভিন্ন লেখক উৎপাদন ব্যবস্থ্যপনার সংজ্ঞা বিভিন্নভাবে প্রদান করেছেন। যেমন-ই.এস. বাফার এর মতে

উৎপাদন ব্যবস্থাপনা হচ্ছে উৎপাদন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত যেখানে নির্ধারিত বৈশিষ্ট্য চাহিদা মোতাবেক পণ্য অথবা সেবাসমূহ ন্যূনতম ব্যয়ে উৎপাদন করা যায়।

ই, এফ, এল ব্রীচ এর মতে,

উৎপাদন ব্যবস্থাপনা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের সে অংশের কার্যাবলীর সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পরিচালনা যা সংঘবদ্ধ প্রক্রিয়ায় কাঁচামালকে চূড়ান্ত পণ্যে রূপান্তরিত করে। কাজেই দেখা যাচ্ছে, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা পণ্য প্রস্তুত করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যাবলীর পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশনা, সমন্বয় সাধন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

উৎপাদন পরিকল্পনা (Production Plan)

একটি কারখানার কোন নির্দিষ্ট সময় কি পরিমাণ দ্রব্য কখন কিভাবে প্রস্তুত করা হবে তা আগাম নির্ধারণই হচ্ছে উৎপাদন পরিকল্পনা। অর্থাৎ উৎপাদন পরিকল্পনা হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন দ্রব্য বা দ্রব্যাদি উৎপাদনের একটি নকশা। মূলতঃ কাংখিত দ্রব্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, জনশক্তি, যন্ত্রপাতি, অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ ও ব্যবহার কৌশল প্রণয়ন বা নির্ধারাণই হলো উৎপাদন পরিকল্পনা। ব্যবসায় সফলতা কিংবা ব্যর্থতা উৎপাদন পরিকল্পনার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিযোাগীতায়টিকে থাকা, উৎপাদনের উপকরণের সদ্বব্যবহার, উৎপাদনের ধারাবাহিকতা রক্ষা, সমন্বয় সাধন, দ্রব্যের গুনগত মান ঠিক রাখা, চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বা দ্রব্য সরবরাহ, উপকরণের যোগান প্রভৃতি উৎপাদন পরিকল্পনার লক্ষ্য। উৎপাদন পরিকল্পনা প্রনয়নের পর তা বাস্তবায়নের ও নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ব্যবস্থাপনা নীতি অনুযায়ী উৎপাদন কার্য নিয়ন্ত্রণের অর্থ হলো পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা।

উৎপাদনের উপাদান (Elements of Production)

কোন দ্রব্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য যে সমস্ত উপকরণের প্রয়োজন হয় তাকে উৎপাদনের উপাদান বলে। উৎপাদনের উপাদান চারটি, এগুলো হলো ভূমি (Land) শ্রম (Labopr) মূলধন (Capitakl) ও সংগঠন (Organization) কোন দ্রব্য উৎপাদন করতে হলে এ চারটি উপাদানের একত্রিকরণের প্রয়োজন হয়। এর একটি উপাদানকে বাদ দিলে উৎপাদন সম্ভব হবে না। তাই উৎপাদনের ক্ষেত্রে উপাদানের গুরুত্ব অপরিসীম।

উৎপাদন পদ্ধতি (Production Process)

পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদানের জন্য যে সব প্রক্রিয়া বিদ্যমান তা পুংখানুরূপে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সব চেয়ে উপযুক্ত পদ্ধতি নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান প্রযুক্তির উন্নয়ন ও পরিবর্তনের যুগে এমন পদ্ধতি নির্বাচন করা উচিত নয় যা দ্রুত বাতিল হয়ে যেতে পারে। যে উৎপাদন পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উৎপাদন ব্যয অপেক্ষাকৃত কম হবে, পণ্যের গুনগত মান বজায় থাকবে এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করা যাবে এমন পদ্ধতি বেছে নিতে হবে। উৎপাদন পদ্ধতি নির্বাচনের সাথে সাথে যন্ত্রপাতি ও কলকারখানা নির্বাচনের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পরীক্ষামূলক ও বাতিল প্রযুক্তিসম্পন্ন মেশিন ও ইকুইপমেন্ট কেনা উচিত নয়।

উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ (Input) যেমন-কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, জনশক্তি, টাকা, উৎপাদন পদ্ধতি, ভূমি, দালান, প্রযুক্তি উপযোগ, সময় ইত্যাদি উপকরণ উৎপাদনের পূর্বেই সংগ্রহ করতে হবে। অতপর এ উপকরগুলো উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহারে আউটপুট অর্থাৎ পণ্য বা সেবা, জ্ঞান, বাই-প্রোডাক্ট, ওয়েষ্টেজ, স্ক্রাপ ইত্যাদি পাওয়া যায়।

উৎপাদনশীলতা (Productivity)

সহজ ও সংক্ষেপে বলতে গেলে কম সম্পদ ব্যবহার করে অধিক উৎপাদনই উৎপাদনশীলতা যেমন-একজন দক্ষ দর্জি ১০০ গজ কাপড় থেকে ১১টি শার্ট তৈরি করতে পারে। পক্ষান্তরে একজন অদক্ষ দর্জি একই কাপড় থেকে ১০টি শার্ট তৈরি করতে পারে। এখানে দক্ষ দর্জির উৎপাদনশীলতা অদক্ষ দর্জি থেকে ১টি শার্ট বেশি।

অন্যভাবে বলা যায়, আউটপুট ও ইনপুটের অনুপাতকে উৎপাদনশীলতা বলে।

উৎপাদনশীলতা = অর্জিত আউটপুট/ ব্যবহৃত ইনপুট

মান নিয়ন্ত্রণ (Quality Control)

নির্মিত শিল্পে পণ্য উৎপাদনে সঠিক উৎপাদন প্রযুক্তি, যথাযথ মানের কাঁচামাল, পণ্যের ডিজাইন, কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মান অনুসরণে উৎপাদিত পণ্যের মান সংরক্ষণ, পরিবেশগত বিষয়ের ব্যবস্থাপনা এবং গুদামজাতকরণ ইত্যাদি বিষয়গুলো যথাযথ ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে। পণ্য উৎপাদন মান নিয়ন্ত্রণের সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। নিম্নে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ করা হলো।

জাতীয় মান প্রণয়নের জন্য আমাদের দেশেল জাতীয় মান সংস্থাটির মান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেষ্টিং ইনস্টিটিউশন, সংক্ষেপে বি.এস.টি আই। আন্তর্জাতিক মান প্রনয়নকারী প্রতিষ্ঠান হলো আই. এস. ও।

স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন থেকে যে সকল বিষয়ে লাভবান হওয়া তা হলো-

ক. উৎপাদনকারী উৎপাদন পদ্ধতির যথাযথ উন্নযন করতে পারে, কাঁচামালের অপচয় রোধ করতে পারে এবং উৎপাদন খরচ কমাতে পারে

খ. ক্রেতা বা ভোক্তা উৎপাতিদ পণ্যের কোয়ালিটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে

গ. ক্রেতা ও সরবরাহকারীর মাধ্যমে বিরোধ নিস্পত্তি করতে পারে

ঘ. ক্রেতা পণ্যের ব্যয়িত টাকার যথযথ মূল্য পায়

ঙ. ব্যবসায়ী পণ্যটি গ্রহণ বা বর্জন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারে

চ. ব্যবসায়ী উৎপাদিত পণ্য নিম্নমানের হলে তা সহজেই চিহ্নিত করতে পারে

ছ. প্রযুক্তিবিদ পণ্যের মানের উপর ভিত্তি করে মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে পারে।

উৎপাদিত পণ্যের মান যথাযথ না হলে তা বাজারজাত করা কঠিন হবে অথবা করা যাবে না। বাজারে প্রেরণের পর বাজার থেকে ফেরৎ আসবে। কোম্পানীর সুনাম নষ্ট হবে, শেষ পর্যন্ত শিল্পটি টিকে থাকবে না। এজন্য সানসম্মত পণ্যের উৎপাদন এবং সংরক্ষণ একান্ত প্রয়োজন।

উৎপাদন ব্যবস্থাপনাঃ (Production Management)

শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন বস্তুর রুপের পরিবর্তন এনে তার উপযোগিতা ও বিনিময় মূল্য বাড়ানো হয়। যেমন পাট দিয়ে শিকা তৈরী করা, কাপড় দিয়ে পোষাক তৈরা করা এবং কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরী করা উৎপাদন ববস্থাপনা সার্বিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ।

উৎাপাদন প্রক্রিয়া এবং উৎপাদনের পরিমান-

মূলত উৎপাদন এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কাঁচামাল  (যেমন কাঠ)  রুপান্তরিত হয়ে পরিনত হয় পন্যে (যেমন আসবাবপত্র )। অবশ্য বড় কিছু উৎপাদন করতে হলে শুধু কাঁচামাল এবং জনশক্তি নয় বরং মূলধন, বিদ্যূৎ, যন্ত্রপাতি এসব অনেক উপাদানের প্রয়োজন হয় ।

উৎপাদন প্রক্রিয়া-

কাঁচামাল (Materials)

যন্ত্র (Machine

পদ্ধতি (Method)                                রুপান্তর প্রক্রিয়া          উৎপাদিত পন্য সমূহ

শ্রমিক (Manpower)

বাজার (Market)

অর্থ/টাকা (Money)

উৎপাদন পরিকল্পনা-

উৎপাদন শুরু করার আগে চিন্তা করতে হবে কতটুকু পরিমান উৎপাদন করা দরকার এবং সে হিসাবে কাঁচামাল, জনশক্তিও চলতি মূলধন বা টাকা পয়সার যোগাড় করা চাই। সাধারনত পন্যের চাহিদা বা উৎপাদিত পন্য সমূহ বাজারে কি পরিমান বিক্রি হবে সে অনুযায়ী কি পরিমান উৎপাদন করতে হবে তা নির্ধারিত হয়ে থাকে । বাজারের চাহিদা বুঝে ঠিক করতে হবে উৎপাদনের পরিমান, প্রয়োজনীয় মালামালের যোগাড় এবং পন্যের মান নিয়ত্নরণ।

উৎপাদন ব্যবস্থাপনা কিভাবে করবেন?

উৎপাদনের জন্য স্থান নির্ধারন
  • কারখানার আকৃতি
  • বিদ্যুৎ/পানি/অন্যান্য শক্তি
যন্ত্রপাতি
  • যন্ত্রের উৎস
  • যন্ত্রের উৎপাদন কৌশল /মান /দক্ষতা
  • প্রকৃত উৎপাদন
  • উৎপাদনশীলতা
  • মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষন
উৎপাদনসূচী
  • মাসভিত্তিক
  • সপ্তাহভিত্তিক
কাঁচামাল
  • কাঁচামালের পরিমান
  • কাচামালের উৎস/প্রাপ্যতা
  • কাঁচামাল নির্বাচন
জনশক্তি
  • শ্রমিকের উৎস
  • শ্রমিকের দক্ষতা
  • উৎপাদনশীলতা
প্রক্রিয়া
  • উৎপাদন কৌশল
  • সঠিক প্রযুক্তি বাছাই

Leave a Comment