১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া, আজই শুরু করুন

মাত্র ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

জানতে চান ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া, তবে তার আগে জেনে নিন ব্যবসা হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া যেখানে মুনাফা অর্জনের জন্য পণ্য দ্রব্য ও সেবা কর্মের উৎপাদন বা অভাব পূরণের লক্ষ্যে বন্টন বা বন্টনের সহায়ক কার্যাবলী করা হয়। সহজ কথায় মুনাফা অর্জনের জন্য পণ্যদ্রব্য বা সেবা কর্মের বিনিময় বা এ সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকাই ব্যবসায় বলে।

“ব্যবসায়” শব্দের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে “ব্যস্ত থাকা” অর্থাৎ হয় ব্যক্তিগতভাবে অথবা সমষ্টিগত ভাবে বাণিজ্যিক ভাবে, সমর্থনযোগ্য ও লাভজনক কাজে ব্যস্ত থাকা। অর্থাৎ মুনাফা অর্জনের জন্য ব্যক্তিগতভাবে বা সমষ্টিগতভাবে  কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি যে সকল কার্যাদি সম্পন্ন করে তাকে ব্যবসায় বলে। তবে মনে রাখা দরকার ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মুনাফা অর্জন করা। ব্যবসা একটি ব্যক্তি কোম্পানি সংস্থা বা সম্প্রদায়ের মাধ্যমে হতে পারে, ব্যবসা সাধারণত সামাজিক আর্থিক অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তবে যেকোনো ব্যবসা শুরু করলে লাভ বা মুনাফা করাটা সহজ নয়। ব্যবসা শুরু করার আগে ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হবে বুঝতে হবে। এবং ব্যবসার সাথে মুনাফা অর্জন ও ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। আসুন আমরা জেনে নেই খুব কম টাকায় যে ব্যবসা গুলো মুনাফা অর্জন করা সহজ। আজকে আলোচনা করব মাত্র ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া, যে ব্যবসাগুলো শুরু করার জন্য খুব বেশি পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে না।

কিভাবে মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করবেন

আমি আপনার জন্য বেশ কিছু আইডিয়া শেয়ার করব যেগুলো সাধারণত কম টাকায় শুরু করা যায়। আসুন জেনে নিই ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

১. ফুলের বিপণি

বিভিন্ন মৌসুমে বাংলাদেশের ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। আপনি খুব কম টাকায় ছোট আকারে ফুলের দোকান করতে পারেন। এমনকি পাইকারি দামে ফুল আপনার দোকানে দিয়ে যাবে। আপনাকে যেটা করতে হবে ফুলগুলোকে মাল আকারে বুকেট বা প্যাকেট আকারে সাজিয়ে বিক্রি করতে হবে। এছাড়া গাড়ি গিয়ে অনুষ্ঠান সাজিয়ে বেশ মুনাফা অর্থ অর্জন করা যায়।

২. হ্যান্ডমেড পণ্য

আপনার যদি হাতে পণ্য তৈরি করার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি সে পণ্যগুলোকে অনলাইনে বা বাজারে বিক্রি করতে পারেন। বিশেষ করে এখন আড়ং বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠান হাতে তৈরি পণ্য ক্রয় করে থাকে।

৩. বাচ্চাদের জন্য হোমমেড খাবার
আপনার যদি রান্নার বা খাবার তৈরির দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন অফিস টিফিনে খাবার সরবরাহ করতে পারেন। কারণ বর্তমানে স্বাস্থ্যগত বিষয়ে বিবেচনায় অনেকেই হ্যান্ডমেড বা হোমমেড খাবার পছন্দ করে থাকে, এ ধরনের খাবারের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৪. ই-কমার্স দক্ষতা শেখানো
আপনি অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিপণি করতে এবং অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে হোম-বেসড ই-কমার্স দক্ষতা শেখাতে পারেন। এটি সময়ের সাথে মিলিয়ে তাদের বিক্রয় বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।

৫. ফটোগ্রাফি সেবা

আপনি যদি ফটোগ্রাফির শখে প্রফেশনাল হোন, তাদের সেবা প্রদান করার জন্য দরকারি সামগ্রী নিয়ে একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিশেষত, প্রস্তুতি থাকতে পারেন ছবি সম্পাদনা বা অলকার কাজে।

৬. ভিন্ন ধরণের ক্যান্ডি তৈরি
আপনি হোমমেড ক্যান্ডি বা মিষ্টি তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করতে পারেন। মিষ্টির প্রেমিকদের জন্য অসীম সম্ভাবনা আছে!

৭. গার্ডেনিং সাধারণ টিপস
আপনি অল্প মূল্যে একটি গার্ডেনিং সাধারিত সামগ্রী সরবরাহ করতে পারেন, যা স্থানীয় লোকদের জন্য উপযোগী হতে পারে। এটি প্রস্তুতি থাকতে পারে ফুল, সজানো গাছ, বা ছোট বৃক্ষ।

৮. ক্যান্ডল তৈরি
আপনি স্বয়ংক্রিয়াভাবে ক্যান্ডল তৈরি করতে পারেন এবং তাদের বাজারে বিক্রয় করতে পারেন। হাতেমধুর সাথে মিলিয়ে আপনি বিভিন্ন রং এবং গন্ধের ক্যান্ডল তৈরি করতে পারেন।

৯. দোকানে দুধ প্রদান
আপনি হোমমেড দুধ বা দুধ পণ্য তৈরি করে তাদের স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করতে পারেন। এটি স্থানীয় কৃষকদের পণ্যগুলি পূর্ণতা এবং প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন করা যাবে তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।

১০. মোবাইল রিপেয়ার সেবা
আপনি মোবাইল এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস মেন্টেনেন্স এবং রিপেয়ার করার জন্য একটি ছোট কারখানা শুরু করতে পারেন। এটি অল্প খরচে একটি কারিগরের সাথে শুরু করা যেতে পারে।

১১. ফুলের বিপণি: ফুলের বিপণি একটি সাধারণ কিন্তু লাভজনক ব্যবসা। আপনি ঘরে ফুল গাছ চাষ করে তা বিক্রি করতে পারেন।

১২. ব্যক্তিগত ব্লগ: আপনি নিজের ব্লগ শুরু করে লেখা লিখতে পারেন। ব্লগ থেকে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারেন।

১৩. ট্রাভেল এজেন্সি: ট্রাভেল এজেন্সি হিসেবে ব্যবসা শুরু করে আপনি ট্রিপ বুকিং এবং হোটেল বুকিং সেবা প্রদান করতে পারেন।

১৪. কাঁসা পিতলের ব্যবসা: কাঁসা এবং পিতলের ব্যবসা অনেক লাভজনক হতে পারে। এই ব্যবসা আপনি অনলাইনে বা অফলাইনে করতে পারেন।

১৫. ব্যক্তিগত কোচিং সেবা: আপনি যদি কোনও ক্ষেত্রে দক্ষ হন, তাহলে আপনি ব্যক্তিগত কোচিং সেবা প্রদান করতে পারেন।

১৬. অনলাইন টিচিং প্ল্যাটফর্ম: আপনি যদি কোনও বিষয়ে দক্ষ হন এবং শিক্ষণ দেতে চান, তাহলে আপনি অনলাইন টিচিং প্ল্যাটফর্মে শিক্ষণ দিতে পারেন।

১৭. ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরামর্শ: আপনি যদি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জ্ঞান থাকেন, তাহলে আপনি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করতে পারেন।

১৮. ফুড ট্রাক: যদি আপনি কুকিং ভালবাসেন, তাহলে আপনি নিজের ফুড ট্রাক চালাতে পারেন। এটি একটি অনুষ্ঠানিক রেস্তোরাঁর সমান ব্যবসা অপর্যাপ্ত মূল্যে শুরু করার সুযোগ প্রদান করে। ফুড ট্রাক সাথে সাথে আপনার ব্যবসা স্থান পরিবর্তন করতে পারে, যাতে আপনি সেখানে অধিক প্রচার এবং ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় খাবার প্রদান করতে পারেন।

১৯. অনলাইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন: আপনি অনলাইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন সেবা প্রদান করতে পারেন। এটি আপনাকে ঘরে বসে কাজ করতে দেয় এবং আপনি আপনার গ্রাহকের প্রাথমিক আবাসন প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ডিজাইন করতে পারেন।

২০. পোশাক এবং টেক্সটাইল: বাংলাদেশ পোশাক এবং টেক্সটাইল উদ্যোগে পরিচিত। আপনি পোশাক উৎপাদন ব্যবসা শুরু করে আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাক এক্সপোর্ট করতে পারেন।

২১. পাট প্রোডাক্ট: পাট বাংলাদেশে অধিকাংশ পাওয়া যায়। এক্সপোর্টের জন্য পাটের ব্যবহার করে পাটের ব্যাগ, গুলি, বা অন্য পাট ভিত্তিক প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন।

২২. চামড়া প্রোডাক্ট: চামড়া প্রোডাক্ট যেমন জুতা, ব্যাগ, ও ওয়ালেট এক্সপোর্টের জন্য অধিক চাহিদা আছে। আপনি চামড়া প্রোডাক্ট উৎপাদন করে এক্সপোর্ট করতে পারেন।

২৩. ফ্রোজেন সিফুড: বাংলাদেশে সমৃদ্ধ মাসুদ সম্পদ রয়েছে। এক্সপোর্টের জন্য ফ্রোজেন মাছ, চিংড়ি, এবং অন্যান্য সিফুড প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন।

২৪. খাবারের ব্যবসা: চা, কফি, বেকারি, ফুড ডেলিভারি সেবা প্রদান করা যেতে পারে।

২৫. দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবসা: মুদি দোকান, ফার্মেসি, স্টেশনারি সেবা প্রদান করা যেতে পারে।

২৬. সেবা ব্যবসা: সেলুনে চুল কাটা, মেকআপ সেবা প্রদান করা যেতে পারে।

২৭. অনলাইন ব্যবসা: অনলাইন শপিং, ফ্রিল্যান্সিং, ইত্যাদি।

২৮. গুগল রিভিউ লেখা: আপনি গুগল রিভিউ লেখে অনলাইনে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

২৯. ব্যক্তিগত ব্লগ লেখা: আপনি নিজের ব্লগ শুরু করে লেখা লিখতে পারেন।

৩০. ক্যাটারিং/টিফিন ব্যবসা: খাবারের ব্যবসা, যেখানে আপনি পার্টি, ইভেন্ট, বিয়ে, অথবা দৈনিক টিফিন সরবরাহ করতে পারেন।

৩১. অনলাইন গ্রসারি ব্যবসা: অনলাইনে মুদি দোকান চালানো, যেখানে মানুষরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারেন।

৩২. টিউটরিং ব্যবসা: অনলাইন শিক্ষক হিসেবে কাজ করা, যেখানে আপনি শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন।

The 100 Best Business Ideas in Bangladesh 2024

Business Boom: Discover the Top 10 fast growing business in bangladesh

ফ্রিল্যান্সিং এ ১০ টি সহজ কাজ যা করে সফল হওয়া যায়