উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়

Contents hide
1. উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়

উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়

‘উদ্যোক্তা’ কে কোন পেশা বা দক্ষতার চেয়ে মনের একটি অবস্থা বলা ভাল। একজন উদ্যোক্তা কোন কিছু বদলে দিতে চান- আগের চেয়ে আরও ভালভাবে কোন পন্য বা সেবা কিভাবে দেয়া যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যান। বইটিতে লেখক কালোত্তীর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এই লেখাটি বইটার একটি মোটামুটি সারসংক্ষেপ বলা যেতে পারে।

এজন উদ্যোক্তা হিসাবে আপনার পাঁচটি মূল বিষয় অবশ্যই খেয়াল করা উচিৎ
  1. যা করছেন তা যেন আপনার কাছে অর্থপূর্ণ হয় ।
  2. একটি মূলমন্ত্র বেছে নিন ।
  3. দীর্ঘ প্লান করে অযথা সময় নস্ট না করে কাজে নেমে পড়ুন ।
  4. আপনার ব্যবসার ধরন ঠিক করুন  (বিজনেস মডেল) ।
  5. অনুমান, বড় বড় লক্ষ্য আর তার জন্য কি কি করতে হবে সে অনুযায়ী কাজের তালিকা রাখুন – প্রয়োজনে সংশোধন করুন ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেললে ।অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

শুরু করার আগে

উদ্যোক্তা হওয়ার ৫ টি সিক্রেটস
উদ্যোক্তা কী ?

বেশিরভাগ সময় আপনি এই প্রশ্নের সম্মুখীন হন যে আপনি কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন কিনা, লেগে থাকতে পারবেন কিনা- ইত্যাদি । কিন্তু মনে রাখতে হবে কোন কিছু করার উৎসাহ থাকা আর সেই কাজটা করতে পারার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।

সেই কারনে সেই দিকে না গিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন
  • আমি কি অর্থপূর্ণ কিছু করতে চাই ?
  • আমি কি এই পৃথিবীকে একটুখানি এগিয়ে নিতে চাই ?
  • আমি কি মানুষের জীবনযাত্রার মান আমার পন্য বা সেবার মাধ্যমে বাড়াতে চাই ?

এই প্রশ্নগুলির উত্তর যদি হ্যা হয়- তবে আপনি কাজে লেগে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। আর কোন একটা প্রশ্নের উত্তর যদি না হয় তাহলে আরেকবার ভাবুন। আপনি হয়ত কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কোন একটা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারবেন।

কিন্তু আপনি সেটা আপনার মন থেকে বড় কিছু মনে করতে পারবেন না। আর অর্থপূর্ণ কোন কিছু করতে গিয়ে যদি আপনি ব্যর্থও হন- তাহলেও আপনি সান্ত্বনা পাবেন যে আপনি বড় কিছু করার চেষ্টা অন্তত করেছেন।

আপনি যদি একটি কোম্পানির মালিক হন তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন-  আমার কোম্পানি না থাকলে কি অসুবিধা হত কোম্পানির পন্য বা সেবা গ্রহনকারীদের ?

যদি কোন উত্তর না পান তাহলে আপনি হয়ত একজন সফল ব্যবসায়ী । কিন্তু সত্যিকার অর্থ্যে uddokta নন।

 একজন মুদি দোকানের মালিক বা একজন বিপননকারীকে আমরা উদ্যোক্তা বলব না। আপনি কোন নতুন ধারনার উপর ভিত্তি করে একটা চায়ের দোকান প্রতিষ্ঠা করলে (যেমন, ১ মিনিটে সুস্বাদু চা) আপনি একজন উদ্যোক্তা।

মূলমন্ত্র

আপনি আপনার কোম্পানির জন্য একটা মূলমন্ত্র ঠিক করুন। এটা আপনার মিশন স্টেটমেন্ট থেকে আলাদা হবে।

উদাহরন হিসাবে IBM এর মূলমন্ত্র হচ্ছে Think ।  আপনি আপনার মূলমন্ত্র ঠিক করবেন আপনার প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সবার জন্য ! ক্রেতাসাধারণের জন্য না ! আপনার কোম্পানির মূলমন্ত্র হতে পারে “ক্রেতার সন্তুষ্টি” বা “সবার জন্য শিক্ষা” বা এই ধরনের কোন একটা সংক্ষিপ্ত শব্দগুচ্ছ । যেটা আপনার প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সবাই জানবে এবং বিশ্বাস করবে।

মূলমন্ত্রের সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে এটা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। কোনকিছু করবেন কিনা সেটা নিয়ে দ্বিধা থাকলে আপনি নিজেকে প্রশ্ন করবেন- টা কি আপনার মূলমন্ত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ?

মূলমন্ত্র হবে হবে হ্যাঁ-বাচক, কি করতে চান সেটা প্রকাশ করবে, কি করতে চান না সেটা নয় !!

দ্রুত বাজারজাত এবং তারপর অবিরাম এগিয়ে যাওয়া :

আপনার প্রতিষ্ঠানের সব কাজ কি আপনার প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে ? আপনি কি আপনার পণ্যের উৎপাদনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ? নাকি শুধু পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন ?

সবকিছু ঝেড়ে ফেলে কাজে লেগে যান আর একটা নমুনা (Prototype) তৈরির দিকে মন দিন। প্রথমবারের চেষ্টায় সফল হয়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যা খুবই নগণ্য। মানুষ কি ভাববে এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। কিভাবে আপনি শুরু করলেন সেটার চেয়ে আপনি কিভাবে আপনার পণ্য বা সেবার মান দিন দিন বাড়াচ্ছেন সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সুতরাং একটা ভার্সন ১ তৈরি করুন,  সেটাকে বাজারে ছেড়ে দিন, সবার মন্তব্য মন দিয়ে শুনুন । সে অনুযায়ী পণ্যের মানের বা ফিচার পরিবর্তন করুন । বারবার এটা করুন। প্রথম সংস্করণে কখনও যুগান্তকারী কিছু করা যায় না ।

আপনি আপনার পণ্যের মান নিয়ে যদি দ্বিধায় থাকেন তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করুন, সেটা আপনার মা অথবা বাবা যদি ব্যবহার করতে চায় তাহলে আপনি দিবেন কিনা ?  উত্তর হ্যা হলে বাজারে ছেড়ে দিন।

প্রথম যারা আপনার পণ্য ব্যবহার করবে তারা জানবে আপনার পণ্যের এটা প্রাথমিক সংস্করণ। আপনি যদি অবিরাম উন্নয়ন করে যান তাহলেই কোন সমস্যা নাই। প্রথমবারে নিখুত করতে গিয়ে যত সময় নিবেন তত দেরিতে আপনি ব্যবহারকারীর ফিডব্যাক পাবেন। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে। যে কাজে আপনার পন্য ব্যবহার হবে সেটা যেন মোটামুটি সহজে করা যায়। আপনি হয়ত একটা হাতুড়ি বাজারজাত করবেন, সেটা দিয়ে যেন পেরেক ঠোকা যায়। দেখতে যদি সেটা সুন্দর না হয় ক্ষতি নেই আপাতত।

আপনি একটা টেক্সট এডিটর বানিয়েছেন। সেটা দেখতে খুব সুন্দর না হোক; অনেক ফিচার না থাক, কিন্তু সেটা দিয়ে টেক্সট এডিট করা যায় তো ? আপনি যদি পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল টেক্সট এডিটর বানানোর পরিকল্পনা করে থাকেন সেটা খুবই ভাল কথা । কিন্তু ভার্সন ১.০ তে সেটা করতে যাওয়া বোকামি হবে। এমন কি হতে পারে না যে আপনি যেটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন সেটা আসলে ব্যবহারকারীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ না ?  

কি করবেন ?

আপনি একটা কোম্পানি দাড়া করাবেন- কিন্তু মনের মত আইডিয়া পাচ্ছেন না?

বিভিন্নভাবে আপনি আইডিয়া পেতে পারেন । আপনি হয়ত কোন কিছুর অভাব অনুভব করেন । কিন্তু বাজারে সেটা নেই, আপনি সেটা নিজেই কেন তৈরি করছেন না ? একজন উৎপাদনকারী যখন ক্রেতা তখন পন্যের ফিচার নিয়ে কোন দ্বিধা থাকে না। তবে অবশ্যই আপনি যেমন পন্য বাজারে থাকলে কিনে আনতেন তেমন পন্য বানান। অন্য মানুষ কি পছন্দ করতে পারে সেটা ভাবার দরকার নাই। আপনি যদি কোন কিছুর অভাব অনুভব করেন আর কেউ সেটা বাজারে ছাড়লে গাঁটের টাকা খরচ করতে রাজি থাকেন তাহলে আরও অনেকে সেটা পয়সা খরচ করে কিনবে।

আরেকটা হতে পারে যে আপনি হয়ত কোন কোম্পানিতে কাজ করেছেন । সেখানে ক্রেতার প্রয়োজন আছে এমন একটা পণ্যের যেটা আপনার কোম্পানি বানাতে আগ্রহী নয় । আপনি নিজেই শুরু করে দিন যদি সম্ভব হয়।

আপনার কাজ হবে কোন একটা কিছুর অভাব খুজে বের করা । তারপর সেই অভাব পূরণ করা। বা কোন একটা সমস্যা খুজে বের করে তার সমাধান বের করা।

বিজনেস মডেল
উদ্যোক্তা হওয়ার ৫ টি সিক্রেটস
Uddokta

আপনার একটা বিজনেস মডেল লাগবে। সেটা বিশাল হওয়ার দরকার নাই। আসলে সেটা হতে হবে খুবই ছোট । ১০ শব্দের মধ্যে হলে ভাল। জনপ্রিয় ebay কোম্পানির বিজনেস মডেল এরকম- “একটা লিস্টিং ফি থাকবে আর বিক্রি প্রতি কমিশন নেয়া হবে”। কোটি কোটি টাকার বিজনেস যদি এত সাধারন মডেলে চলতে পারে তাহলে বিশাল আর জটিল বিজনেস মডেল তৈরি করা সময়ের অপচয় নয়কি? (সার্কিটের মুন্না ভাইকে দেয়া জটিল শব্দ ব্যবহারের পরামর্শের কথা মনে পড়ল- হা হা হা)

আপনার কোম্পানি পরিচালনার খরচ আর আপনি কি পরিমান বিক্রি করতে পারবেন সেটা বিবেচনা করে সহজ একটা মডেল দাড়া করান।

গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যসমুহ

আপনার কোম্পানির কাজকর্ম যেন একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আপনাকে অবশ্যই বিচ্ছিন্নভাবে করা অসামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ পরিহার করতে হবে- যেগুলো সময় আর অর্থ অপচয় ছাড়া আর কোন উপকার করবে না।

মোটামুটি সব ধরনের কোম্পানির জন্য নিচের লক্ষ্যগুলো প্রযোজ্যঃ

  • আপনার আইডিয়ার বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা সেটা যাচাই করা ।
  • পন্য বা সেবার পরিকল্পনা
  • নমুনা বা প্রোটোটাইপ তৈরি ।
  • মূলধন সংগ্রহ ।
  • যাচাই করা যায় এমন একটি ভার্সন বাজারে ছাড়া ।
  • ক্রেতার মতামত অনুযায়ী একটি ব্যবহারযোগ্য ভার্সন বাজারে ছাড়া ।
  • খরচের চেয়ে মুনাফা বেশি হওয়া (Breakeven) ।

কোন কোন ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে করলেও হবে এমন কিছু ভাবাও অনুচিৎ। কারণ তা এখনই করা উচিৎ এবং না করলে আপনার কোম্পানির অগ্রগতি ব্যহত হবে । সেগুলোর দিকে নজর দেয়া সম্ভব হবে না। 

আপনি যদি আপনার হাতুড়ির হাতলের কারুকাজের দিকে মনোযোগ দেন, যখন কিনা আপনার হাতুড়ি দিয়ে পেরেক ঠোকা যায় না । আপনি সময়ের অপচয় করছেন। প্রথমে পেরেক ঠোকার ব্যবস্থা করুন। তারপর সেটা কাউকে ব্যবহার করতে দিন। ঠিকমত পেরেক ঠোকা যাচ্ছে ? না গেলে কেন যাচ্ছে না সেটা ঠিক করুন। কারুকার্যখোচিত হাতুড়ি যেটা দিয়ে পেরেক ঠোকা যায় না সেটা কেউ কিনবে না। আর ব্যবহারকারীর মতামত যাচাই না করে আপনি কখনও নিশ্চিৎ হতে পারবেন না যে আপনার পন্য ব্যবহারকারী পছন্দ করবে।

অনুমানসমুহঃ

উদ্যোক্তা হিসাবে আপনাকে নিচের অনুমানগুলি করতে হবেঃ

  • আপনার কোম্পানির পার্ফমেন্স কেমন হবে, মার্কেট সাইজ কেমন ?
  • মুনাফা কেমন হবে ?
  • একজন সেলসম্যান কতজন ক্রেতার কাছে দিনে যেতে পারবে ? তারমধ্যে কতজন পন্য কিনবে ?
  • প্রতি ইউনিট বিক্রয়ের জন্য কাস্টমার টেক সাপোর্ট কলের জন্য কত খরচ হবে ?
  • কম্পিটিশন কেমন হবে ?
  • কাচামাল বা পন্য উৎপাদের জন্য কেমন খরচ হবে ইত্যাদি।

এইগুলো যেহেতু অনুমান সুতরাং বাস্তবে কিছু অনুমান ভুল হতেই পারে। কোন অনুমান ভুল হলে সেটার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া আপনার দায়িত্ব।

কাজের তালিকাঃ

উদ্যোক্তা হওয়ার ৫ টি সিক্রেটস
Uddoktar khoje

আপনার দৈনন্দিন কাজের একটা তালিকা থাকা জরুরী । তবে সেটা হতে হবে একেকটা উদ্যেশ্য । যেমন আপনি ভাত রান্নাকে একটা উদ্যেশ্য ধরতে পারেন । কিন্তু চুলা জ্বালানো কোনো উদ্যেশ্য নয় । যদিও ভাত রান্নার জন্য সেটা জরুরী । ধরুন আপনি চুলা জ্বালানো আপনার তালিকায় যোগ করলেন এবং চাল ধোয়া, চুলায় হাঁড়ি বসানো ইত্যাদি তালিকায় পরপর রাখলেন । এখন কাউকে দায়িত্ব দিয়ে বাইরে গেলেন । সে ম্যাচের অভাবে চুলা জালাতে পারল না। সুতারাং বাকি কাজও হল না । কিন্তু যদি তাকে বলতেন ভাত রান্না কর । তাহলে সে হয়ত আপনার ইলেকট্রিক রাইসকুকার ব্যবহার করত ।

কয়েকদিন আগে আমার এরকম একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। একটা ফিচার একটা সফটওয়ারে কনফিগার করার চেষ্টা করছিলাম । কেন করছিলাম সেটার সম্পর্কে ধারণা ছিল না। আমার যেন কম কাজ করতে হয় সেজন্য ছোট্ট একটা অংশ করতে দেয়া হয়েছিল। পরে দেখা গেল আসলে সেটার কোন দরকার নাই । সহজে অন্যভাবে করা যায়।

মার্কেটিং থিম আপনার কোম্পানির অবস্থান ঠিক করুনঃ

আপনার কোম্পানি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কি ভাবে সেটা ঠিক করা অত্যন্ত জরুরী । আপনি যদি সফটওয়ার কোম্পানি হন, তাহলে আপনার ক্রেতা যেন আপনাকে হার্ডওয়ার বিপননকারী না ভাবে। যদিও আপনি আপনার সফটওয়ার চালানোর উপযোগী হার্ডওয়ার সরবরাহ করেন ।

আসুন এখন দেখি কিভাবে আপনি আপনার অবস্থান সম্পর্কে ধারণা দিবেনঃ-

আপনি আপনার কোম্পানির কাজ কি সেটা ৩০ সেকেন্ডে বুঝিয়ে বলতে পারেন ? যদি না পারেন তাহলে এখনই চিন্তাভাবনা করে বের করুন । তারপর আপনার বন্ধুকে বলুন আপনার কোম্পানির কাজ কি। তারপর তাকে বলতে বলুন। আপনার বন্ধু যদি ঠিকমত বলতে না পারে আপনি আবার ঠিক করুন কি বলবেন । অন্য একজন বন্ধুকে বলুন,  তারপর তাকেও বলতে বলুন। যতক্ষণ আপনি সন্তষ্ট না হচ্ছেন ততক্ষন এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখুন।

এরপর আপনি ঠিক করবেন আপনার পন্য কেন ক্রেতা কিনবে । আপনার পন্য ব্যবহার করে ক্রেতা কি উপকার পাবে। কখনই অন্য কোম্পানিকে বাজার থেকে উৎখাত করতে চান এটা বলতে যাবেন না। আপনার দায়িত্ব আপনার পণ্যের থেকে কি উপকার পাওয়া যাবে সেটার উপর জোর দেয়া।

আপনার পন্যের মান সম্পর্কে ধারণা দিতে এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা সবাই ব্যবহার করে । যতক্ষন আপনি প্রমান দিতে না পারছেন । আপনি হয়ত বলতে চান আপনার সফটওয়ার ব্যবহার সহজ । কিন্তু তার প্রমান দিলেন না। তাহলে হবে না । আপনাকে বলতে হবে আপনার সফটওয়ার ব্যবহারের জন্য কোন ট্রেনিং লাগে না এবং উদাহরন দিতে হবে । এখন যদি অন্য কোম্পানির সফটওয়ার ব্যবহার করতেও ট্রেনিং না লাগে তাহলে হাস্যকর হবে অবশ্য।

আপনি যা বলছেন সেটার ব্যাপারে ক্রেতার আগ্রহ থাকতে হবে । আপনি যদি বলেন আপনার হাতুড়ি দিয়ে কান চুলকানো যায়, তাহলে সেটা নিশ্চয়ই অন্য সবার থেকে আলাদা হবে। কিন্তু কেউকি সেটা কিনতে উৎসাহী হবে ? মূল বিষয়ে মনোযোগ দিন । আপনার পন্যের ক্রেতা কারা সেটা যেন যে কেউ চোখ বন্ধ করে বলতে পারে । সেইমত আপনি আপনার বিজ্ঞাপনের মূলভাব ঠিক করবেন।

আপনার মার্কেটিং থিম যেন ব্যক্তিগত হয়। ধরুন আপনি বললেন আপনার সফটওয়ার HTTPS প্রোটোকল ব্যবহার করে। আমি বলব তাতে আমার কি ! আপনাকে বলতে হবে এই সফটওয়ার ব্যবহার করলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ থাকবে । আপনার ক্রেডিটকার্ড অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।

আপনার পণ্যের কোন সুবিধা বা ফিচার বলার সময় নিজেকে প্রশ্ন করবেন তাতে কি লাভ। তারপর সেই প্রশ্নের উত্তর দিবেন । তাহলে আপনার ফিচারের গুরুত্ব সবাই বুঝতে পারবে । শুধু টেকনিক্যাল টার্ম ব্যবহার করে আপনার ব্যবহারকারিকে বিভ্রান্ত করবেন না ।

শূন্য থেকে শুরু

উদ্যোক্তা হওয়ার ৫ টি সিক্রেটস
উদ্যোক্তা

আপনার পুঁজি নেই কিন্তু কোম্পানি দাড়া করাতে চান ? কোন সমস্যা নেই। মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল এরাও পুঁজি সংগ্রহ করে তারপর ব্যবসা শুরু করে নাই। আস্তে আস্তে বড় হয়েছে। টাকার অভাব কোন বাধা হয়নি। আপনার বড় কিছু করার স্বপ্ন থাকতে হবে। তারপর আপনি শুরু করুন শূণ্য থেকে (Bootstrapping)।

আপনি যদি কোন সফল কোম্পানির দিকে তাকান তাহলে দেখবেন তারা অনেক ধরনের পণ্য বাজারজাত করে। একেকটা গ্রুপ অব কোম্পানি। কিন্তু আপনি যদি সেটা দেখে শুরুতেই অনেক কিছু করার চেষ্টা করেন তাহলে কোনটাই ঠিকমত করতে পারবেন না। মাইক্রোসফট যেভাবে ব্যাসিক কম্পাইলার দিয়ে শুরু করেছিল আপনিও সেভাবে শুরু করুন। তারপর সময় সুযোগ মত আস্তে আস্তে বড় করুন আপনার কোম্পানির পরিধি । ছোট ছোট পন্য যেটার ব্যাপারে বড় কোম্পানি উৎসাহ দেখবে না সেগুলো দিয়ে শুরু করলেই সব মিলিয়ে বড় কিছুর জন্ম হবে।

আপনার যদি পুঁজির অভাব থাকে তাহলে আপনার প্রথম কাজ হবে মোটামুটি এটা পন্য খুব দ্রুত দাড়া করানো । তারপর নিয়মিত সেটার উন্নয়নের দিকে নজর দেয়া।

এনিথিং ইউ ওয়ান্টঃ

এই বইটিতে লেখক ড্রেক সিভারস তাঁর সিডিবেবি নামের কোম্পানির উদ্যেশ্য, শুরু, বেড়ে ওঠা সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন । এই লেখাটি বইটার একটি মোটামুটি সারসংক্ষেপ বলা যেতে পারে।

সঠিক লক্ষ্য ঠিক করাঃ

আপনি কোন কাজ করে আনন্দ পান সেটা প্রথমে খুজে বের করুন । কাজের মধ্য আনন্দ না থাকলে বড় কিছু করা যায় না । প্রথমে ঠিক করুণ আপনি কি করলে আনন্দ পাবেন । অন্য সবাই কি করলে আপনার ভাল হবে সে বিষয়ে যাই বলুক বা চিন্তা করুক সেটা নিয়ে চিন্তা না করে আপনি কিসে আনন্দ পান সেটা ভেবে বের করুন। যে কাজে আনন্দ পাবেন না, সেটা করার পিছনে সময় দিলে আর কঠোর পরিশ্রম করলে হয়ত কিছু একটা হবে । কিন্তু সেটা যদি আপনাকে আনন্দ না দেয় তাহলে সময় এবং শক্তি দুইটারই অপচয় ছাড়া কিছু হবে না। আপনার কাছে কোন কিছু যদি গুরুত্বপূর্ণ না মনে হয় তাহলে যে যাই বলুক ভুলে যান।

আপনার আদর্শ জগৎঃ

উদ্যোক্তা হওয়ার ৫ টি সিক্রেটস
উদ্যোক্তার খোজে

আপনার কোম্পানি যেন আপনার আদর্শ জগতের প্রতিফলন হয়। আপনি পৃথিবীর সব কোম্পানি কেমন হলে এই পৃথিবী আপনার কাছে অনেক অনেক সুন্দর হত মনে করেন ? আপনি আপনার কোম্পানি সেভাবে গড়ে তুলুন।

বেশিরভাগ মানুষ ঠিক করে চিন্তা করে না তারা যা করছে তা কেন করছে । অন্য মানষকে অনুকরন করতে গিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা ভাবার সময় হয় না । আপনি যা করছেন তা যেন আপনার স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয় । আপনার বেশিরভাগ কাজ যেন আপনার পছন্দ হয় ।

আপনি ভাবছেন হুহ্ বললেই হল ? ব্যবসায় কত রকম কাজ করতে হয়, সব একজনের পছন্দ হবে কিভাবে ?  আপনি যেটা নিজে যা পছন্দ করবেন সেটা কেউ না কেউ পছন্দ করবে । সেরকম কাউকে খুঁজে বের করুন। তাকে আপনার পার্টনার বানান বা তাকে আপনার কোম্পানিতে যোগ দেয়ার আমন্ত্রন জানান।

আর আপনার উদ্যেশ্য যতক্ষণ আপনার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অর্থপূর্ণ হবে ততক্ষণ আপনি আপাত দৃষ্টিতে বিরক্তিকর কাজের মধ্যেও আনন্দ পাবেন । প্রিয় মানুষের সাথে দেখা করতে যেতে যদি ১০ মাইল হাটতেও হয় সেটা কি আপনার কাছে বিরক্তিকর মনে হবে ?

নিজের নয় অপরের জন্যঃ

ড্রেক সিভারস একজন সংগীত শিল্পী। তিনি যখন বড় বড় মিউজিক ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে তার সিডি বিতরনের চেষ্টা করলেন তারা তাকে সাফ মানা করে দিল । তিনি চিন্তা করলেন তিনি নিজেই অনলাইনে বিক্রি করবেন । তার ওয়েব সাইটে ছিল শুধু  HTML পেজ । তিনি সেখানে খুব সামান্য পি.এইচ.পি কোডের মাধ্যমে অনলাইনে কেনার ব্যবস্থা করলেন । সেটা দেখে তার একজন শিল্পী বন্ধু অনুরোধ করলেন তার সিডিও বিক্রির ব্যবস্থা করে দিতে । তারপর আরেক বন্ধু, তারপর বন্ধুর বন্ধু । এভাবে প্রায় ৫০ জন পরিচিত অপরিচিত শিল্পীর সিডি তার অনলাইন শপে যোগ হল । এটা ছিল তার নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে এবং অন্যদের সাহায্য করার একটা মাধ্যম। এর মাধ্যমে তার নিজের এবং অন্যদের প্রয়োজন মেটার সাথে সাথে ছয় মাসের মধ্যে হয়ে গেল একটা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ।

উদ্যোক্তা হওয়ার ৫ টি সিক্রেটস
আমাকে দ্বারা হবে না, ভুলে যান কথাটা !

মিশন ষ্টেটমেন্টঃ

আপনি যদি আপনার ব্যবসার জন্য জমকালো মিশন স্টেটমেন্ট ঠিক করে থাকেন, তাহলে সেটা ভুলে গিয়ে সহজ একটা মিশন ষ্টেটমেন্ট ঠিক করুন। সিডিবেবি এর মিশন ষ্টেটমেন্ট ছিল এরকমঃ

  • সংগীত শিল্পী তার সিডি বিক্রির টাকা প্রতি সপ্তাহে পাবে ।
  • সিডি ক্রেতার সব তথ্য সংগীত শিল্পীকে চাইলে দেয়া হবে ।
  • বিক্রি যত কমই হোক কাউকে বাদ দেয়া হবে না সাইট থেকে ।
  • সব সংগীত শিল্পী সমান সুযোগ পাবে। টাকার বিনিময়ে কাউকে বেশি সুযোগ দেয়া হবে না

সবকিছু এখানে করা হচ্ছে সংগীত শিল্পীর যেন সাহায্য হয়। ব্যবসার উন্নতির কথা ভেবে কিছু রাখা হয়নি । যদি কোন কোম্পানির মূল উদ্যেশ্য হয় মানুষকে সাহায্য করা তাহলে সেটা ব্যবসা সফল প্রতিষ্ঠান না হয়ে যায় না । আমরা মাইক্রোসফট, গুগল বা ফেসবুকের কথা চিন্তা করলে দেখব উভয় ক্ষেত্রে এটা সত্য । মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস আর পল অ্যালান কম্পিউটারকে শুধু বড় কোম্পানি নয় সবার ডেস্কটপে দেখতে চেয়েছিলেন । গুগলের মিশন ছিল মানুষকে সহজে তথ্য খুঁজতে সাহায্য করা । আর ফেসবুকের মিশন ছিল একে অপরের সাথে সহজ যোগাযোগের ব্যবস্থা করা । কোম্পানিগুলো যে সফল এটা কাউকে বলে দিতে হয় না।

বিজনেস প্লান/ মডেলঃ

আপনি কি ৬০ পৃষ্ঠা বিজনেস প্লানের কথা ভাবছেন ? সেটার কথা পুরোপুরি ভুলে যান । ৫ বছরের প্রজেকশন সহ বিসনেস প্লান যদি আপনার বানানোর পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে স্টিভ ব্লাংকের কথাটি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই-

“No Plan Survives First Contact with Customers”

সিডিবেবির বিজনেস মডেল ছিল মাত্র লাইনের।
  • সংগীত শিল্পী নিজের সিডির দাম ঠিক করবে আর প্রতি বিক্রিত সিডির থেকে ৪ ডলার রেখে বাকিটা প্রতি সপ্তাহে শিল্পীকে দেয়া হবে  ।
  • সিডিপ্রতি ৩৫ ডলার সেটাপ ফি নেয়া হবে ।

১৫ কোটি টাকার কোম্পানি যদি এই দুই লাইনের বিজনেস মডেলে চলতে পারে, তাহলে কোম্পানি শুরু করার আগে বিশাল বিজনেস প্লান তৈরী কি হাস্যকর নয় ?

কেউ যদি ব্যাংক লোন বা ভেন্চার ক্যাপিটালের দ্বারস্থ হন তাহলে বিসনেস প্লান একটা লাগবে । কিন্তু সেটা ভিন্ন প্রসংগ, ভেন্চার ক্যাপিটালের সাকসেস রেট ১০% এর কাছাকাছি । সুতরাং মনে রাখতে হবে ভেন্চার ক্যাপিটালের থেকে পুঁজি সংগ্রহ করতে পারলেও বিফল হওয়ার সম্ভবনা ৯০% । কিন্তু ক্রেতার উপকার হয় এরকম পন্য উৎপাদন করে এরকম কোম্পানির সফল না হওয়ার সম্ভবনা খুব কম ।

নিরন্তর চেষ্টা / বিভিন্ন ভাবে চেষ্টাঃ

সফল হওয়ার একমাত্র পন্থা নিরন্তর চেষ্টা করা,  ঠিক ? ভুল । একবার না পারলে শতবার চেষ্টা করার কথা কবিতায় লেখা আছে । কথাটার মধ্যে বড় একটা ফাঁক আছে। শতবার একইভাবে চেষ্টা করলে ফলাফল একই হবে।

সফল uddokta মাত্রই স্বীকার করবেন সফল হতে হলে কঠোর পরিশ্রম দরকার । কিন্তু সেটা হতে হবে প্রতিনিয়ত পদ্ধতির উন্নয়ন বা অন্য ভাবে চেষ্টা করা। একই কাজ একইভাবে শতবার চেষ্টা করার দরকার নেই।

কঠোর পরিশ্রম করার উৎসাহ ধরে রাখা খুব কঠিন। সেই কারণেই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা দাড়া করাতে চান সেটা যেন আপনি করে আন্দ পান।

পুঁজিঃ
উদ্যোক্তা হওয়ার ৫ টি সিক্রেটস
বাজেটের অভাবে শুরু করতে পারছেন না ?

ব্যবসার শুরু করার জন্য পুঁজি দরকার- ঠিক? ভুল। মাইক্রোসফট, গুগল, অ্যাপল, ফেসবুক কোন কোম্পানি টাকার জোরে তৈরি হয়নি । এগুলো শুরু হয়েছে গ্যারেজ বা বিশ্ববিধ্যালয়ের ডর্মে ।  যখনই কেউ আপনার উদ্যোগে বিনিয়োগ করবে তখনই তারা আপনার প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে। পুঁজির পরিমান যত বেশি হবে নিয়ন্ত্রনের পরিমানও তত বেশি হবে।

আসলে মানুষকে সাহায্য করা যদি কোম্পানির উদ্যেশ্য হয় (আমরা আগেই দেখেছি সেটার লাভজনক হতে বাধা নেই) তাহলে টাকা কি । তা  গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে?

সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়

আপনি যদি সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করেন তাহলে কাউকেই খুশি করতে পারবেন না। কোন একজন কাষ্টমার একটা বিশেষ অনুরোধ করছে বা বিশেষ ফিচার চাইছে আপনার পণ্যে ? আপনি তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তাকে তার পরামর্শের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। তারপর ভেবে দেখুন সেটা সাধারনভাবে সবার জন্য কাজে লাগবে কিনা । যদি তা না হয় তাহলে আপনি আপনার অপারগতার কথা জানান। কিন্তু কাস্টমারকে সাহায্য করাই কোম্পানির উদ্যেশ্য এটা কখনও ভুলে যাবেন না। আপনি ততক্ষন পর্যন্ত কাউকে না বলবেন না যতক্ষণ না সেটা করতে গিয়ে আপনার কোম্পানি পন্য বা সার্ভিস এর মান  সার্বিকভাবে খারাপ হয়ে যায়।

আপনি যদি এমন কোন পন্য উৎপাদন করেন যা ১% মানুষের পছন্দ হয় আর ৯৯% মানুষ সেটা পছন্দ না করে তাহলে ওই ১% আপনার পণ্যের ভক্তে পরিনত হবে। ৯০% মানুষের জন্য সাধারন মানের পন্য তৈরির চেয়ে ১% মানুষের জন্য চোখ ফেরানো যায় না এমন পন্য তৈরি করা অনেক ভাল।

আপনার কোম্পানি আপনাকে ছাড়া চলবে কি ?

আপনার কোম্পানি যদি আপনার প্রতি পুরোপুরি নির্ভরশীল হয় তাহলে সেটা অনেক বড় ঝুঁকি। একজনের পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব নয় । আপনি যদি কোন কারণে দীর্ঘদিন কোম্পানির কাজ করতে না পারেন তাহলে যেন কোম্পানির কর্যক্রম থেমে না যায়।

তাছাড়া যদি আপনি উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন বা অন্য কোন কারণে কাজ করতে না পারেন তাহলে আপনার কোম্পানির কি হবে? যে কারনে একজন পিতা চান না তার মৃত্যু হলে তার সন্তানও মারা যাক । সেই কারনে আপনার কোম্পানিরও আপনার উপর শতভাগ নির্ভরশীল হওয়া উচিৎ নয়।

সঠিক পথে চলাঃ

উদ্যোক্তা হওয়ার ৫ টি সিক্রেটস
সততাই পরিশ্রমের মূল্য দিবে ।

আপনি আপনার কোম্পানি দাড়া করিয়ে ফেলেছেন । ক্রেতা আপনার পন্য বা সার্ভিস এর গুণমুগ্ধ। তারা তাদের বন্ধুদের কাছে আপনার কোম্পানির প্রসংসা করছে । অভিনন্দন আপনাকে। আপনি অসাধারণ দক্ষতায় আপনার কোম্পানির প্রতিটা দিক সামাল দিয়েছেন। কিন্তু আপনার কোম্পানির কার্যক্রম ঠিক পথে আছে কিনা কিভাবে বুঝবেন?

মানুষ কি আপনার কোম্পানি থেকে উপকার পাচ্ছে ? আপনার কাজ কি আপনাকে আনন্দ দিচ্ছে ? আপনার কোম্পানি কি লাভজনক ? সবগুলি প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যা হয় তাহলে আপনি ঠিক পথেই আছেন।

যদি আপনার কোম্পানি লাভজনক হয় এবং মানুষ আপনার কোম্পানির পন্য বা সেবা থেকে উপকার পায় কিন্তু আপনি আনন্দ না পান? এটা শুধু তখনই হতে পারে যখন আপনি আর কোম্পানির উদ্যেশ্যের মধ্যে অর্থপূর্ণ কিছু খুজে পাচ্ছেন না।  তাহলে আপনার উচিৎ হবে এমন একজনকে খুজে বের করা যে আপনার দায়িত্ব অর্থপূর্ণ মনে করবে। আপনার নিজের হাতে গড়া কোম্পানির প্রতি যতি আপনার বিন্দুমাত্র দরদ থাকে তাহলে সেটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। 

কার্টেসিঃ  সংগৃহীত

 

Leave a Comment